হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেশিরভাগ সবুজ শাকে প্রচুর পুষ্টি গুণ রয়েছে। তবে লাল শাকেরও গুণের শেষ নেই। পুষ্টির ভাল উৎস হওয়ার পাশাপাশি এটিকে ওষুধি হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। এই শাকের ডাটায় লাল রঙের তরল থাকায় এর পাতা ও ডাটা লাল দেখায়।
বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলোতে লাল শাক গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকে ৫০ গ্রাম শক্তি, দশমিক শূন্য ৮ গ্রাম ভিটামিন বি ১ এইচ, দশমিক ৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়া এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারও পাওয়া যায়।
লাল শাকে নিয়াসিন এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর থাকায় নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এ খাবারটি রাখা উচিত। লাল শাকে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে কোলন পরিস্কারে ভূমিকা রাখে। এটি কোষ্টকাঠিন্য এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল কমায়।
লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি রক্তপ্রবাহের উন্নতি ঘটায়। নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্ত পরিশোধিত হয় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লাল শাক খেলে কিডনির কার্যকারিতা ভাল থাকে ফাইবারের উপস্থিতির কারণে।
ভিটামিন এবং বিভিন্ন পুষ্টির ভাল উৎস হওয়ায় লাল শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায্য করে। এতে থাকা অ্যামাইনো এসিড, ভিটামিন ই, কে, আয়রন এবং বিভিন্ন খনিজ শরীরের যেকোন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন কে’র ভাল উৎস হওয়ায় লাল শাক হাড় সুরক্ষাতেও ভূমিকা রাখে।