ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা মাঝি সৈয়দ আশরাফই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অসুস্থতার জন্য ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয় ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মশিউর রহমান হুমায়ুনকে। তবে শারীরিক অবস্থার নাটকীয় উন্নতির পর আশরাফের হাতেই উঠছে দলীয় প্রতীক নৌকা। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চারটি জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ ছেলে।

এই আসন থেকে নির্বাচন করতেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৯৭৫ সালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার পর তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুইবার সেখানে হেরে যায় আওয়ামী লীগ। তবে ৯৬ সালে আশরাফ আসার পর আসনটিতে ক্রমেই বাড়ছে নৌকার ভোট।

গত ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর মোট ২৬৬ আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। ১৪টি আসনে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয় দুইজনকে। এদের মধ্যে দুইজন জমা দেননি। ফলে ১২টি আসনে রয়ে যায় দুইজন করে প্রার্থী।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি পাওয়া সৈয়দ আশরাফের পাশাপাশি হুমায়ুনের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা হয়েছে। আর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু না হলেও হুমায়ুন নানাভাবে জনসংযোগ শুরুই করে দিয়েছিলেন।

তফসিলের আগে থেকেই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকা আশরাফের শারীরিক অবস্থা সঙ্গীন থাকার বিষয়টি তার ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে। জানান, কাউকে চিনতে পারছেন না আশরাফ।

তবে গত কয়েক দিনে আশরাফের অবস্থার উন্নতির পর চিকিৎসকরা তার সুস্থতার বিষয়ে আশাবাদী। তিনি হাঁটাচলাও করছেন।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে আশরাফকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানানো হয়। আর এই খবরে কিশোরগঞ্জে তার সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস তৈরি হয়।

টানা ২২ বছর ধরে ওই আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে আশরাফের বিরুদ্ধে বলার মতো কোনো অভিযোগ তার বিরোধীপক্ষও করতে পারেনি। সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত তিনি। আর ভোটের মাঠে পড়েছে এর প্রভাব।

১৯৯৬ সালের ১২ জানুয়ারির ভোটে বিএনপির মাসুদ হেলালীকে ১২ হাজার ৩২০ ভোটে হারান। ২০০১ সালে সারাদেশে বিপর্যয়ের মধ্যেও আসনটি ধরে রাখেন তিনি। পাঁচ বছর আগের প্রতিদ্বন্দ্বীকে সে বছর তিনি হারান নয় হাজার ৫৭৯ ভোটে। ওই বছর ভোটের ব্যবধান কম হওয়ার কারণ ছিল আওয়ামী লীগ লড়েছে একা, আর বিএনপি লড়ে চারটি দলের সমন্বয়ে জোট করে।

২০০৮ সালে আশরাফ একই প্রতিদ্বন্দ্বীকে হাজার ৭১ হাজার ৯৮৫ ভোটে।

স্বাগত জানিয়েছেন হুমায়ুন

নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত না হলেও দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মশিউর রহমান হুমায়ুন। ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের আবেগের জায়গা আমাদের সম্পদ। আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধভাবে আশরাফ ভাইকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা মাঝি সৈয়দ আশরাফই

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অসুস্থতার জন্য ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয় ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মশিউর রহমান হুমায়ুনকে। তবে শারীরিক অবস্থার নাটকীয় উন্নতির পর আশরাফের হাতেই উঠছে দলীয় প্রতীক নৌকা। ১৯৯৬ সাল থেকে টানা চারটি জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ ছেলে।

এই আসন থেকে নির্বাচন করতেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৯৭৫ সালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার পর তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুইবার সেখানে হেরে যায় আওয়ামী লীগ। তবে ৯৬ সালে আশরাফ আসার পর আসনটিতে ক্রমেই বাড়ছে নৌকার ভোট।

গত ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর মোট ২৬৬ আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। ১৪টি আসনে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয় দুইজনকে। এদের মধ্যে দুইজন জমা দেননি। ফলে ১২টি আসনে রয়ে যায় দুইজন করে প্রার্থী।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি পাওয়া সৈয়দ আশরাফের পাশাপাশি হুমায়ুনের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা হয়েছে। আর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু না হলেও হুমায়ুন নানাভাবে জনসংযোগ শুরুই করে দিয়েছিলেন।

তফসিলের আগে থেকেই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকা আশরাফের শারীরিক অবস্থা সঙ্গীন থাকার বিষয়টি তার ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমকে। জানান, কাউকে চিনতে পারছেন না আশরাফ।

তবে গত কয়েক দিনে আশরাফের অবস্থার উন্নতির পর চিকিৎসকরা তার সুস্থতার বিষয়ে আশাবাদী। তিনি হাঁটাচলাও করছেন।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে আশরাফকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানানো হয়। আর এই খবরে কিশোরগঞ্জে তার সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস তৈরি হয়।

টানা ২২ বছর ধরে ওই আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে আশরাফের বিরুদ্ধে বলার মতো কোনো অভিযোগ তার বিরোধীপক্ষও করতে পারেনি। সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত তিনি। আর ভোটের মাঠে পড়েছে এর প্রভাব।

১৯৯৬ সালের ১২ জানুয়ারির ভোটে বিএনপির মাসুদ হেলালীকে ১২ হাজার ৩২০ ভোটে হারান। ২০০১ সালে সারাদেশে বিপর্যয়ের মধ্যেও আসনটি ধরে রাখেন তিনি। পাঁচ বছর আগের প্রতিদ্বন্দ্বীকে সে বছর তিনি হারান নয় হাজার ৫৭৯ ভোটে। ওই বছর ভোটের ব্যবধান কম হওয়ার কারণ ছিল আওয়ামী লীগ লড়েছে একা, আর বিএনপি লড়ে চারটি দলের সমন্বয়ে জোট করে।

২০০৮ সালে আশরাফ একই প্রতিদ্বন্দ্বীকে হাজার ৭১ হাজার ৯৮৫ ভোটে।

স্বাগত জানিয়েছেন হুমায়ুন

নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত না হলেও দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মশিউর রহমান হুমায়ুন। ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের আবেগের জায়গা আমাদের সম্পদ। আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভূলে ঐক্যবদ্ধভাবে আশরাফ ভাইকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মান জানাই।