ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩০৮ বার

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন রোধ করতে ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এক ভয়ঙ্কর পদ্ধতি প্রয়োগ করে কন্যা সন্তানদের স্তনের বৃদ্ধি ঠেকানো হচ্ছে। গরম পাথর, হাতুড়ি আর চামচ গরম করে এক অভিনব নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে মেয়েদের স্তনকে বুকের সাথে লাগানো বা চ্যাপ্টা করার জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

ডেইলি মেইল অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
১১ থেকে ১৫ বছরের মেয়েদের ওপর এই পদ্ধতিটা প্রয়োগ করা হয় বেশি। অল্প বয়সে গর্ভধারণ রোধ এবং ছেলেরা যেন মেয়েদের প্রতি কম আকৃষ্ট হয় এর জন্য এ নিষ্ঠুর পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, সারা বিশ্বের প্রায় ৩৮ লাখ অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ৫৮ শতাংশ মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের মায়েরাই এই নিষ্ঠুর কাজটি করছেন।

প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, কয়লার চুলায় একটি বড় পাথর, একটি হাতুড়ি ও একটি চামচ গরম করা হয়। তারপর সেগুলো দিয়ে বুকের দুই পাশে ‘ছ্যাঁকা’ দেয়া হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে স্তনগুলোকে সংকুচিত করা হয়। যাতে তাদের মধ্যে ‘মেয়েলি’ ভাবটা কম ফুটে ওঠে।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
জনস্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮ শতাংশ মা তাদের কন্যা সন্তানদের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
ক্যামেরুনের ধনী পরিবারের মেয়ে হলে অবশ্যই এ পদ্ধতির পরিবর্তন হয়। তখন তারা তাদের মেয়েদের এক ধরনের টাইট বেল্ট পরান, যা বুকের স্তন বেড়ে উঠতে বাধা দেয়।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংগঠন নারী ও কন্যা শিশু উন্নয়ন সংস্থা স্তন বৃদ্ধি ঠেকানোর এই ভয়ঙ্কর ও অবৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতে যুক্তরাজ্য ও ক্যামেরুনে পুলিশ, স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্কুলে প্রচারাভিযান চালাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি

আপডেট টাইম : ১২:০৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন রোধ করতে ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এক ভয়ঙ্কর পদ্ধতি প্রয়োগ করে কন্যা সন্তানদের স্তনের বৃদ্ধি ঠেকানো হচ্ছে। গরম পাথর, হাতুড়ি আর চামচ গরম করে এক অভিনব নিষ্ঠুর পদ্ধতিতে মেয়েদের স্তনকে বুকের সাথে লাগানো বা চ্যাপ্টা করার জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

ডেইলি মেইল অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
১১ থেকে ১৫ বছরের মেয়েদের ওপর এই পদ্ধতিটা প্রয়োগ করা হয় বেশি। অল্প বয়সে গর্ভধারণ রোধ এবং ছেলেরা যেন মেয়েদের প্রতি কম আকৃষ্ট হয় এর জন্য এ নিষ্ঠুর পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, সারা বিশ্বের প্রায় ৩৮ লাখ অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ৫৮ শতাংশ মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের মায়েরাই এই নিষ্ঠুর কাজটি করছেন।

প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, কয়লার চুলায় একটি বড় পাথর, একটি হাতুড়ি ও একটি চামচ গরম করা হয়। তারপর সেগুলো দিয়ে বুকের দুই পাশে ‘ছ্যাঁকা’ দেয়া হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে স্তনগুলোকে সংকুচিত করা হয়। যাতে তাদের মধ্যে ‘মেয়েলি’ ভাবটা কম ফুটে ওঠে।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
জনস্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৮ শতাংশ মা তাদের কন্যা সন্তানদের ওপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
ক্যামেরুনের ধনী পরিবারের মেয়ে হলে অবশ্যই এ পদ্ধতির পরিবর্তন হয়। তখন তারা তাদের মেয়েদের এক ধরনের টাইট বেল্ট পরান, যা বুকের স্তন বেড়ে উঠতে বাধা দেয়।

ধর্ষণ ঠেকাতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি!
লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংগঠন নারী ও কন্যা শিশু উন্নয়ন সংস্থা স্তন বৃদ্ধি ঠেকানোর এই ভয়ঙ্কর ও অবৈধ পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতে যুক্তরাজ্য ও ক্যামেরুনে পুলিশ, স্বাস্থ্য সংস্থা এবং স্কুলে প্রচারাভিযান চালাচ্ছে।