হাওর বার্তা ডেস্কঃ মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া প্রায় সাড়ে ৫৪৩ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশনে। আজ থেকে তিন দিনে এসব আবেদন নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্র হিসেবে জমা পড়ে তিন হাজার ৫৬ টি মনোনয়নপত্র। তবে গত রবিবার যাচাইবাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৮৬টি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে তিন দিন আপিলের সুযোগ পান বাদ পড়ে যাওয়া প্রার্থীরা। সোম থেকে বুধবার তিন দিন সরগরম ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
প্রথম দিন ৮৪টি, দ্বিতীয় দিন ২৩৭টি, ৫ ডিসেম্বর ২২২ টি আপিল জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে দাঁড়ায় ৫৪৩ জন। অর্থাৎ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বাকি ২৪৩ জন।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করাদের মধ্যে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। তবে বিএনপির বাদ হয়ে যাওয়া ১৪১ জনের মধ্যে কয়জন এই আপিল করেছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। আর নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়ে কোনো হিসাব রাখেনি।
আজ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আপিলের শুনানি হবে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে। প্রথম দিনে ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ১৬০ পর্যন্ত, দ্বিতীয় দিনে ১৬০ থেকে ৩১০ এবং তৃতীয় দিনে ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত ক্রমিকে হবে এই শুনানি।
এর পাশাপাশি বৈধ ঘোষিত একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বাতিল চাইছেন। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন বিএনপির রেজাউল করিম খান চুন্নু, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাসের প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। তবে কতজন এমনটি চেয়েছেন, সেটির স্পষ্ট নয়।
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যারা আপিল করেছ অন্যের আপিল যেন বৈধ না হয় সেরকমও কিছু আপিল জমা পড়েছে। সেটা কত সংখ্যায় আমরা তা নির্ধারন করিনি। তাদের মধ্যে, সকাল ১০ থেকে যতক্ষণ শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপিল শুনানি চলবে।’
আরেক প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কার কত আপিল জমা পড়েছে তাও আমরা নির্ধারণ করিনি।’
নির্বাচন কমিশন তিন দিনে আপিল নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিলেও বিএনপি দাবি করেছে দুই দিনে নিষ্পত্তির। তবে সেটি নাকচ করেছে কমিশন। সচিব বলেন, ‘আমরা তাদের বুঝিয়েছি এত কম সময়ে সম্ভব নয়, আমাদের তিনদিন লাগবে।’
নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াত ইসলাম কীভাবে নির্বাচনে আসছে- এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দলের বিষয়। আমরা দল হিসেবে নিবন্ধন বাদ করেছি। জোটবদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তারা হলে আমাদের কিছু করার নেই।’
সূত্রঃ ঢাকাটাইমস