ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহ ও বাকৃবি’র নেতৃত্ব কেন্দ্রের জন্য কঠিন পরীক্ষা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৫৯ বার

ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) নেতৃত্ব নির্বাচন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জন্য কঠিন পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘ময়মনসিংহ ও বাকৃবি ছাত্রলীগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী ইউনিট। মাদকমুক্ত, নেতৃত্বদানে গুণাবলী সম্পন্ন, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের এ দুই ইউনিটের নেতৃত্বে আনা হবে। দলের জন্য যারা দুঃসময়ে কাজ করেছেন, যাদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কোনো অভিযোগ নেই তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শহরের হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনালে সঙ্গে আলাপকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন এসব কথা বলেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রাজন, সাবেক উপ-ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম বাকী চৌধুরী, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আরিফুর রহমান লিমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাব্বির ইউনুস বাবুও উপস্থিত ছিলেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওইদিন একই অভিযোগে বিলুপ্ত করা হয় সংগঠনটির বাকৃবি শাখাও। আর এ দু’কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের জোর লবিং।

এ দুই কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে পদ-প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করতে ময়মনসিংহে যান মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এরপর শহরের শিববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে উৎসবের আমেজে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের কাছে ময়মনসিংহ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রাজ্জাক উষাণ, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সব্যসাচী সরকার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আদনান প্রিয়মসহ জেলা ছাত্রলীগের ৫০জন নেতৃত্ব প্রত্যাশী জীবন বৃত্তান্ত জমা নেন।

জেলা ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশী সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আদনান প্রিয়ম বলেন, দলের সুসময়ে দুঃসময়ে নিজেকে সপে দিয়ে কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দক্ষ, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞতা সম্পন্নদেরই মূল্যায়ন করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।’

এদিকে মোবারক হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের আর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাকৃবি ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অফিসের দফতর সেলে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের তৃণমূল, সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে।

এ কমিটি গঠনে জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সমঝোতার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। এখানে সমঝোতা ও ভাগাভাগি প্রশ্নের কোনো সুযোগ নেই। মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের নেতৃত্বে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলানিউজকে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহ ও বাকৃবি’র নেতৃত্ব কেন্দ্রের জন্য কঠিন পরীক্ষা

আপডেট টাইম : ১১:৫০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫

ময়মনসিংহ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) নেতৃত্ব নির্বাচন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জন্য কঠিন পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘ময়মনসিংহ ও বাকৃবি ছাত্রলীগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী ইউনিট। মাদকমুক্ত, নেতৃত্বদানে গুণাবলী সম্পন্ন, মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্রদের এ দুই ইউনিটের নেতৃত্বে আনা হবে। দলের জন্য যারা দুঃসময়ে কাজ করেছেন, যাদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কোনো অভিযোগ নেই তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে শহরের হোটেল আমির ইন্টারন্যাশনালে সঙ্গে আলাপকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক হোসেন এসব কথা বলেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রাজন, সাবেক উপ-ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম বাকী চৌধুরী, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক আরিফুর রহমান লিমন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাব্বির ইউনুস বাবুও উপস্থিত ছিলেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওইদিন একই অভিযোগে বিলুপ্ত করা হয় সংগঠনটির বাকৃবি শাখাও। আর এ দু’কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরপরই শুরু হয়ে যায় নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের জোর লবিং।

এ দুই কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে পদ-প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করতে ময়মনসিংহে যান মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

এরপর শহরের শিববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে উৎসবের আমেজে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের কাছে ময়মনসিংহ শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রাজ্জাক উষাণ, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সব্যসাচী সরকার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আদনান প্রিয়মসহ জেলা ছাত্রলীগের ৫০জন নেতৃত্ব প্রত্যাশী জীবন বৃত্তান্ত জমা নেন।

জেলা ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশী সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আদনান প্রিয়ম বলেন, দলের সুসময়ে দুঃসময়ে নিজেকে সপে দিয়ে কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দক্ষ, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞতা সম্পন্নদেরই মূল্যায়ন করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।’

এদিকে মোবারক হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টা পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের আর বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাকৃবি ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অফিসের দফতর সেলে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের তৃণমূল, সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে।

এ কমিটি গঠনে জেলা আওয়ামী লীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সমঝোতার বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। এখানে সমঝোতা ও ভাগাভাগি প্রশ্নের কোনো সুযোগ নেই। মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের নেতৃত্বে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলানিউজকে