ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়াগামী ১০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮
  • ২৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় আবদুর রহমান নামে এক দালালকে আটক করা হয়। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝার পাড়ার ফজরুল হকের ছেলে।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ। তারা হলেন জিয়া, রশিদ ইল্লাহ, নুর আলম, জাবের, মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা ও সলিকা। তারা সবাই উখিয়া কতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব ৭-এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান। তিনি জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আবদুর রহমানের বাড়িতে ওইসব রোহিঙ্গাদের জড়ো করে রাখা হয়েছিল। গোপনে খবর পেয়ে বাড়ি তল্লাশি করে ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে আবদুর রহমানকেও আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মেজর মেহেদী আরো বলেন, ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে আবদুর রহমান তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর আরো দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা। রোহিঙ্গা নারীদের সেখানে বিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়াগামী ১০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭। এ সময় আবদুর রহমান নামে এক দালালকে আটক করা হয়। তিনি সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝার পাড়ার ফজরুল হকের ছেলে।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ। তারা হলেন জিয়া, রশিদ ইল্লাহ, নুর আলম, জাবের, মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা ও সলিকা। তারা সবাই উখিয়া কতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে থাকেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব ৭-এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান। তিনি জানান, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আবদুর রহমানের বাড়িতে ওইসব রোহিঙ্গাদের জড়ো করে রাখা হয়েছিল। গোপনে খবর পেয়ে বাড়ি তল্লাশি করে ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে আবদুর রহমানকেও আটক করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে মেজর মেহেদী আরো বলেন, ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে আবদুর রহমান তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর আরো দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা। রোহিঙ্গা নারীদের সেখানে বিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।