ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবিধান সংশোধনের কোনও দরকার নেই, স্রেফ প্রশাসনিক নির্দেশনামা জারি করেই নাগরিকত্ব আইন বদলে ফেলা যাবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার মাটিতে জন্মালে নাগরিকত্বের স্বাভাবিক সাংবিধানিক অধিকার অনুপ্রবেশকারী, বেআইনি অভিবাসী এবং অ-নাগরিকদের সন্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে আসছে। আমেরিকার মাটিতে জন্মানো মানেই সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারী। এই ব্যবস্থাটাই তুলে দিতে চান ট্রাম্প।

টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, এটা করতে গেলে নাকি সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। একেবারেই হবে না।’ ট্রাম্পের দাবি, হোয়াইট হাউজের আইনজীবীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

তিনি এও বলেন, ‘প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রশাসনিক নির্দেশিকা জারি করেই ব্যাপারটা করে ফেলা যাবে।’

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ পরই আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার আগে অভিবাসন নিয়ে এভাবেই সুর চড়াচ্ছেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান শিবির মনে করছে, তাতে ভোটবাক্সেও ফায়দা হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমাদের দেশেই এ রকম অদ্ভুত একটা নিয়ম আছে। এটা শেষ হওয়া দরকার।’

যদিও বিরোধীদের মতে, জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার এভাবে প্রেসিডেন্টের ইচ্ছায় নাকচ করা যায় না। এটা সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। মার্কিন স্টেটগুলির তিন-চতুর্থাংশের সমর্থন দরকার হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

আপডেট টাইম : ১১:৪৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবিধান সংশোধনের কোনও দরকার নেই, স্রেফ প্রশাসনিক নির্দেশনামা জারি করেই নাগরিকত্ব আইন বদলে ফেলা যাবে বলে আশা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার মাটিতে জন্মালে নাগরিকত্বের স্বাভাবিক সাংবিধানিক অধিকার অনুপ্রবেশকারী, বেআইনি অভিবাসী এবং অ-নাগরিকদের সন্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়ে আসছে। আমেরিকার মাটিতে জন্মানো মানেই সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকারী। এই ব্যবস্থাটাই তুলে দিতে চান ট্রাম্প।

টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাকে সব সময় বলা হয়েছে, এটা করতে গেলে নাকি সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। একেবারেই হবে না।’ ট্রাম্পের দাবি, হোয়াইট হাউজের আইনজীবীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

তিনি এও বলেন, ‘প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রশাসনিক নির্দেশিকা জারি করেই ব্যাপারটা করে ফেলা যাবে।’

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ পরই আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে যাচ্ছে। তার আগে অভিবাসন নিয়ে এভাবেই সুর চড়াচ্ছেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান শিবির মনে করছে, তাতে ভোটবাক্সেও ফায়দা হতে পারে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র আমাদের দেশেই এ রকম অদ্ভুত একটা নিয়ম আছে। এটা শেষ হওয়া দরকার।’

যদিও বিরোধীদের মতে, জন্মগত নাগরিকত্বের অধিকার এভাবে প্রেসিডেন্টের ইচ্ছায় নাকচ করা যায় না। এটা সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন লাগবে। মার্কিন স্টেটগুলির তিন-চতুর্থাংশের সমর্থন দরকার হবে।