হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইন্দোনেশিয়ার উত্তর জাভা দ্বীপের কাছে সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয় লায়ন এয়ারলাইন্সের একট বিমান। বিমানে ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন এবং এদের কেউ বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী সংস্থার অপারেশনাল ডিরেক্টর সূর্য বামবাং জানিয়েছেন, ‘লায়ন এয়ারলাইন্সের বিমানে ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন এবং এদের কেউ বেঁচে নেই বলেই মনে হচ্ছে। কারণ অনেকের লাশ বহুদূরে পাওয়া গেছে। এখন আমাদের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে বিমানের মূল ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করা।’
সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানী জাকার্তা থেকে সুমাত্রা দ্বীপের পাংকাল পিনাং শহরে যাওয়ার সময় বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ওড়ার ১৩ মিনিট পর কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে। এসময় বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,১১৩ মিটার উপরে ছিল। সমস্যা বুঝতে পেরে বিমানের পাইলট আবার বিমানটি নিয়ে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন এবং কন্ট্রোল টাওয়ার তাকে সে অনুমতিও দিয়েছিল কিন্তু এরপরই তিনি যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেন।
এদিকে, লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত বিমানটিতে ওঠার কথা ছিল সোনি সেটিয়াওয়ান নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু তিনি যানজটে আটকা পড়ে যান। যে কারণে বিমানে ওঠা হয়নি তার। এখন তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে অবিরত শুকরিয়া আদায় করে যাচ্ছেন। কেননা, বিমানে থাকলে হয়তো তিনিও বাঁচতে পারতেন না।
সেটিয়াওয়ান জানান, দুর্ঘটনার কথা শুনে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছিল। কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। মাকে সামলানো যাচ্ছিল না। তার পরেই ওদের জানালাম, আমার কিছু হয়নি।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বামবাং সুরিয়ো জানিয়েছন, আমাদের মূল ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পাওয়া দরকার। এ পর্যন্ত যতগুলো দেহাংশ খুঁজে পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে আমার ধারণা কেউ-ই বেঁচে নেই।