হাওর বার্তা ডেস্কঃ কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য ক্রুজ চালানো হবে। এছাড়া ভারতের চেন্নাই থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার পর্যন্তও ক্রুজ চলবে। আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকেই গঙ্গা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র দিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে গুয়াহাটি-জোরহাট পর্যন্ত ১৫৩৯ কিলোমিটার নদীপথে ক্রুজের যাত্রা শুরু করা নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। একই সঙ্গে এই নদী ও সমুদ্রপথে পণ্য চলাচলের ব্যাপারেও দুই দেশ একমত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের নৌ সচিবদের বৈঠকে এ ব্যাপারে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, নদী ও সমুদ্র পথে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা হয়েছে, তা চূড়ান্ত করা হবে বেসরকারি ক্রুজ পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলার পর। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’এর (পিআই ডবলিউটিটি) দুদিনের বৈঠকে বেশকটি চুক্তি হয়েছে। একটি চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের সুবিধা দেওয়া সংক্রান্ত। এই চুক্তিতে সই করেছেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ ও ভারতের জাহাজ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোপাল কৃষ্ণ। এই চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে নদী সংযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অভিন্ন নদীর সংস্কারের চেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের পর বাংলাদেশের নৌ পরিবহন সচিব আবদুস সামাদ বলেছেন, দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি যত ঘটবে ততই দুদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। সম্পর্ক উন্নত হবে। ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। এছাড়া নৌপথে পণ্য চলাচলের সুবিধার জন্য চালু প্রটোকল সংশোধন করে ভারতের ধুবুড়ি ও বাংলাদেশের পানাগাঁও বন্দরকে পোর্ট অব কল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীপথের নাব্যতা বাড়াতে ভারত অভিন্ন নদীগুলোর ড্রেজিংয়ের মোট খরচের ৮০ শতাংশ বহন করবে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে বাংলাদেশের রাজশাহী এবং ত্রিপুরার দুটি নদী গোমতী ও হাওড়ার সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া যায় কি না তা দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন। এদিকে বাংলাদেশের নকুগাঁও স্থল বন্দর ও ভারতের ডালু চেক পোস্টের সঙ্গে ভুটানের গেলেফুর সঙ্গে সংযোগ ঘটানোর বিষয়টিও আলোচিত হয়েছে।