চাঁদের রহস্যময় নয় তথ্য

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। যাকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। ব্লু মুন, ক্রিসেন্ট মুন এবং ফুল মুন! এরকম অনেক রোমান্টিক নামও আছে চাঁদের। আসুন জেনে নেই এর রহস্যময় নয় তথ্য-

পনির দিয়ে তৈরি চাঁদঃ মজার ব্যাপার হলো ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় চালানো একটি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৩ শতাংশের মতে, চাঁদ চীজ বা পনির দিয়ে তৈরি।

চাঁদ গোল নয়ঃ চাঁদের আসলে ডিমের মতো দেখতে। কেউ যখন এর দিকে তাকায়, তখন ছোট দুই প্রান্তের কোনও একটিকে দেখতে পায়। চাঁদের ভরের কেন্দ্র ঠিক এর জ্যামিতিক কেন্দ্রে অবস্থিত নয়। এটি জ্যামিতিক কেন্দ্র থেকে এক দশমিক দুই মাইল দূরে।

সম্পূর্ণ চাঁদ কখনও দেখা যায় নাঃ কেউ চাঁদের দিকে তাকালে এর মাত্র ৫৯ শতাংশ দেখা পায়। পৃথিবী থেকে চাঁদের বাকি ৪১ শতাংশ কখনোই দেখা যায় না। এমনকি এই ৪১ শতাংশের ওপরে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে এই পৃথিবীকেও দেখা যায় না।

চাঁদকে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনাঃ যুক্তরাষ্ট্র একবার তাদের সামরিক শক্তি দেখাতে চাঁদের ওপর পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিল। বিশেষ করে রাশিয়াকে ভয় দেখানোর জন্য। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অত্যন্ত গোপনীয় এই পরিকল্পনার নাম ছিল ‘এ স্টাডি অফ লুনার রিসার্চ ফ্লাইটস’ বা ‘প্রজেক্ট এ১১৯’।

পৃথিবীর ধীর গতির কারণ চাঁদঃ চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে, তখন জোয়ারের সৃষ্টি হয়। নতুন বা ফুল মুনের পরপরই এরকম হয়। তখন পৃথিবীর ঘূর্ণন শক্তিও চাঁদ চুরি করে নেয়। আর তাই পৃথিবীর গতিও প্রতি ১০০ বছরে প্রায় এক দশমিক পাঁচ মিলি-সেকেন্ড করে শ্লথ হয়ে যাচ্ছে।

চাঁদের আলোঃ একটি পূর্ণ চাঁদের চেয়েও ১৪ গুণ মাত্রায় বেশি উজ্জ্বল সূর্য। এর মতো সমান উজ্জ্বলতায় জ্বলতে হলে প্রায় চার লাখ পূর্ণ চাঁদের প্রয়োজন। চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার ভেতরে চলে যায়। তাই চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট কমে যেতে পারে।

আগ্নেয়গিরি থেকে ব্লু মুনঃ ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের পর ১৮৮৩ সালে ‘ব্লু মুন’ পরিভাষার জন্ম হয় বলে ধারণা করা হয়। তখন বায়ুমণ্ডলে এতো বেশি ধুলো ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে যে পৃথিবী থেকে চাঁদকে নীল মনে হয়। এ থেকেই আসে ‘ওয়ান্স ইন এ ব্লু মুন’ কথাটি। বিরল কোনও ঘটনা বোঝাতে এটি ব্যবহার করা হয়।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বুঝেছিলেন ক্রিসেন্ট কি জিনিসঃ ক্রিসেন্ট বা অর্ধচন্দ্রাকৃতি থাকাকালে চাঁদ থেকে ছিটকে আসা সূর্যের আলোকে দেখা যায়। এর বাকি অংশ খুব অস্পষ্ট দেখা যায়। সেটাও নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপরে। শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চিই হলেন প্রথম কোনও ব্যক্তি যিনি উপলব্ধি করেন যে চাঁদ আসলে সঙ্কুচিত এবং এটা প্রসারিত হচ্ছে না। বরং এর কিছু অংশ লুকায়িত।

ড্রাগনের কারণেই চন্দ্রগ্রহণঃ সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে চাঁদ এসে পড়লে বা সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে চাঁদ এসে দাঁড়ালে এদের আলো সাময়িকভাবে ম্লান হয়ে যায়। একে বলা হয় চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ। একটি প্রাচীন চীনা বিশ্বাস মতে, একটি ড্রাগন যখন চাঁদ বা সূর্যকে গিলে খেয়ে ফেলায় চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয়। তখন চীনারা যতোটা সম্ভব আওয়াজ সৃষ্টি করতে থাকে যাতে ড্রাগনটি ভয় পেয়ে চলে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর