ঢাকা ০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়্যারলেস চার্জারের যত সুবিধা-অসুবিধা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৭৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্মার্টফোনে চার্জ দেয়ার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। একটি চার্জিং ডকের মাধ্যমে ফোনে চার্জ দেয়ার পদ্ধতি ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। এর বড় সুবিধা হলো তারের ঝামেলা নেই। কিন্তু এই পদ্ধতির কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

সুবিধা-ওয়ারলেস চার্জার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এতে কোনও তার লাগে না। চার্জার অন্য কোথাও ভুলে রেখে এলাম কিনা তা মনে রাখার দরকার নেই। আজকাল আমাদের সবার কাছেই বিভিন্ন সংস্থার স্মার্ট ফোন থাকে। যদিও তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই চার্জার এক রকমের হয়ে থাকে। তবে অ্যাপল ফোনগুলির চার্জার অন্যদের থেকে একটু আলাদা হয়। ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে আমরা এক সঙ্গে অনেকগুলি ফোন চার্জ দিতে পারব।

ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে যেকোনো আকার ও মাপের ফোনের চার্জিং সকেটে চার্জ দেওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহার শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়। এদের মাধ্যমে আমরা অনেক রকম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চার্জ দিতে পারব।

মাল্টিপল ডিভাইস চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করলে আমরা আমাদের স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ইত্যাদি খুব সহজেই চার্জ দিতে পারব। এর ফলে আমরা আমাদের বাড়িতে ও অফিসে তার ও অ্যাডাপ্টার এর হাত থেকে রেহাই পাব।

ওয়্যারলেস চার্জারের ব্যবহার শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়।

অসুবিধা-এই ওয়্যারলেস চার্জারগুলোর যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এগুলোর কিছু অসুবিধাও আছে। তাই এগুলো কেনার আগে তাদের অসুবিধার কথাও জেনে রাখা দরকার। এগুলোর কার্যক্ষমতা এখনও গতানুগতিক চার্জারের মতো হয়ে ওঠেনি। যার ফলে চার্জিংয়ের গতি অনেকটাই কমে যায়। অন্যান্য চার্জারের তুলনায় এগুলোতে তাপ বেশি নিঃসৃত হয়ে থাকে।

যদিও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ে আমরা তার ছাড়াই চার্জ দিতে পারি, তবুও এটি একেবারে তারবিহীন নয়। এর চার্জিং স্টেশনগুলোকে প্লাগে লাগাতেই হয়। চার্জিং স্টেশনগুলোকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়াও খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এছাড়াও ফোন বা অন্য কিছু চার্জ দেওয়ার সময় তাদের সর্বক্ষণ চার্জিং প্যাডের উপরে রাখতে হয়, যার ফলে চার্জ দেওয়ার সময় আমরা এগুলোতে কোনও কাজ করতে পারি না।

ওয়্যারলেস চার্জারগুলির আরেকটি অসুবিধা হল এদের চার্জিং স্টেশনগুলি সমস্ত স্মার্ট ফোনের সঙ্গে ব্যবহার করা যায় না। অনেকেই এই কারণে খুব অসুবিধায় পড়েছেন। এখানেও সাধারণ চার্জারগুলি এর থেকে কার্যকরী।

তবে এই প্রযুক্তিটি একেবারেই নতুন। স্বাভাবিক ভাবেই এই চার্জারগুলো পুরোপুরি ভাবে ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে এগুরো অদূর ভবিষ্যতে আরও পরিণত হতে চলেছে। এগুলো পুরোপুরি ওয়্যারলেস হতে এবং অন্যান্য চার্জারগুলোর মতো জনপ্রিয় হতে এখনও কিছু সময় নেবে। বহু কোম্পানি এদের আরও উন্নত করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়্যারলেস চার্জারের যত সুবিধা-অসুবিধা

আপডেট টাইম : ০৪:০৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্মার্টফোনে চার্জ দেয়ার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। একটি চার্জিং ডকের মাধ্যমে ফোনে চার্জ দেয়ার পদ্ধতি ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। এর বড় সুবিধা হলো তারের ঝামেলা নেই। কিন্তু এই পদ্ধতির কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

সুবিধা-ওয়ারলেস চার্জার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এতে কোনও তার লাগে না। চার্জার অন্য কোথাও ভুলে রেখে এলাম কিনা তা মনে রাখার দরকার নেই। আজকাল আমাদের সবার কাছেই বিভিন্ন সংস্থার স্মার্ট ফোন থাকে। যদিও তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই চার্জার এক রকমের হয়ে থাকে। তবে অ্যাপল ফোনগুলির চার্জার অন্যদের থেকে একটু আলাদা হয়। ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে আমরা এক সঙ্গে অনেকগুলি ফোন চার্জ দিতে পারব।

ওয়্যারলেস চার্জারগুলির সাহায্যে যেকোনো আকার ও মাপের ফোনের চার্জিং সকেটে চার্জ দেওয়া যায়। এগুলোর ব্যবহার শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়। এদের মাধ্যমে আমরা অনেক রকম ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চার্জ দিতে পারব।

মাল্টিপল ডিভাইস চার্জিং স্টেশন ব্যবহার করলে আমরা আমাদের স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ইত্যাদি খুব সহজেই চার্জ দিতে পারব। এর ফলে আমরা আমাদের বাড়িতে ও অফিসে তার ও অ্যাডাপ্টার এর হাত থেকে রেহাই পাব।

ওয়্যারলেস চার্জারের ব্যবহার শুধুমাত্র স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ নয়।

অসুবিধা-এই ওয়্যারলেস চার্জারগুলোর যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এগুলোর কিছু অসুবিধাও আছে। তাই এগুলো কেনার আগে তাদের অসুবিধার কথাও জেনে রাখা দরকার। এগুলোর কার্যক্ষমতা এখনও গতানুগতিক চার্জারের মতো হয়ে ওঠেনি। যার ফলে চার্জিংয়ের গতি অনেকটাই কমে যায়। অন্যান্য চার্জারের তুলনায় এগুলোতে তাপ বেশি নিঃসৃত হয়ে থাকে।

যদিও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ে আমরা তার ছাড়াই চার্জ দিতে পারি, তবুও এটি একেবারে তারবিহীন নয়। এর চার্জিং স্টেশনগুলোকে প্লাগে লাগাতেই হয়। চার্জিং স্টেশনগুলোকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়াও খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এছাড়াও ফোন বা অন্য কিছু চার্জ দেওয়ার সময় তাদের সর্বক্ষণ চার্জিং প্যাডের উপরে রাখতে হয়, যার ফলে চার্জ দেওয়ার সময় আমরা এগুলোতে কোনও কাজ করতে পারি না।

ওয়্যারলেস চার্জারগুলির আরেকটি অসুবিধা হল এদের চার্জিং স্টেশনগুলি সমস্ত স্মার্ট ফোনের সঙ্গে ব্যবহার করা যায় না। অনেকেই এই কারণে খুব অসুবিধায় পড়েছেন। এখানেও সাধারণ চার্জারগুলি এর থেকে কার্যকরী।

তবে এই প্রযুক্তিটি একেবারেই নতুন। স্বাভাবিক ভাবেই এই চার্জারগুলো পুরোপুরি ভাবে ত্রুটিমুক্ত নয়। তবে এগুরো অদূর ভবিষ্যতে আরও পরিণত হতে চলেছে। এগুলো পুরোপুরি ওয়্যারলেস হতে এবং অন্যান্য চার্জারগুলোর মতো জনপ্রিয় হতে এখনও কিছু সময় নেবে। বহু কোম্পানি এদের আরও উন্নত করে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।