হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। হেগের এ আদালতের কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে যেভাবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে,তাতে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা-সে বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে হাত দেয়া হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোড়পূর্বক বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেয়া ও হত্যা করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দেশটির বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে বলে সিদ্ধান্ত আসার ধারাবাহিকতায় এ তদন্ত শুরু হলো। আইসিসির এ তদন্তের পথ ধরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পথ খুলতে পারে বলেও বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের ক্ষমতাধর সেনাদের অপসারণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। এর আগে তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবহিনীর অপরাধের মাত্রা এতটাই বেশি যে, তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। তবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) রয়েছে বলে হেগের আদালত যে রায় দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছিল মিয়ানমার সরকার।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট আইসিসির ওই সিদ্ধান্তকে সন্দেহযুক্ত আইনি ভিত্তি এবং ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার ফসল হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।গত বছরের ২৪ আগস্ট কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। এর পরের দিন থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এ সহিংস অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিভিন্ন সময় সহিংসতার শিকার আরও ৪ লাখ রোহিঙ্গা তার আগে থেকেই বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থান করছে।