ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

সরকারি ও বেসরকারি তথ্যে গরমিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৭১ বার

দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ শিশু এ নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। আলাদা আলাদা পরিসংখ্যান দিয়ে কাজ করছে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো। তথ্যের এই গড়মিল অনেকখানি। ১০ থেকে ১৫ শতাংশের। এদিকে শিশুর সঠিক পরিসংখ্যান জানার জন্য দ্রুত একটি জরিপ সম্পন্ন করার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনগুলো।যা বলছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) তথ্যানুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৫ ভাগই শিশু। এ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে শিশুর সংখ্যা ৬ থেকে ৭ কোটি। অপর দিকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বলছে, মোট জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশু। সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। জনগোষ্ঠী ১৬ কোটি ধরলে সে হিসেবে শিশুর সংখ্যা হবে ৬ কোটি ৪০ লাখ।সংশ্লিষ্টরা যা বলছে৬৭টি শিশু সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস শহীদ মাহমুদ সংবাদকে বলেন, একেক জন একেকটা উৎসের উপর ভিত্তি করে শিশুদের পরিসংখ্যান নির্ধারণ করছে। কেউ বলছেন মোট জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশু। কেউ বলছে এই হার ৪৫ শতাংশ। আবার কেউ দাবি করছে এই হার ৪৭ শতাংশ। ৩০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে ১৫ শতাংশের ব্যবধান। এত তারতম্য থাকাটা ঠিক নয়। কেননা, পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা প্রণয়ন, লোকবল ও বাজেট বরাদ্দসহ সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এত বিস্তর তারতম্য থাকলে তো সব পদক্ষেপই ব্যর্থ হবে। শিশুদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা নির্ধারিত পরিসংখ্যান থাকা উচিত। যেসব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদেরকেও সেই পরিসংখ্যান মেনে চলতে হবে।শিশুদের পরিসংখ্যানগত এই তারতম্য শিশুদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, শিশুদের কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় কোন কার্যক্রম নেই। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাজেট এগুলোতে শিশুদের কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোন কার্যক্রম নেই। তাই সংখ্যাগত তারতম্য প্রভাব ফেলে না। তবে সংখ্যাগত পার্থক্যই বড় সমস্যা।দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি শিশু হবে না বলে দাবি করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সংবাদকে বলেন, মূল জনসংখ্যা কত তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি তথ্য থাকতে পারে। মোট জনসংখ্যার কত ভাগ শিশু তা জানার আগে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কত তা জানা দরকার। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। নির্বাচন কমিশন বলছে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ কোটি ৬২ লাখ। সরকারি এই দুই তথ্যই যদি সত্য হয় তাহলে দেশে শিশুর সংখ্যা হবে পাঁচ কোটির মতো। সেই হিসাবে মোট জনসংখ্যার ৩৫ থেকে ৪০ ভাগের বেশি শিশু হবার কথা নয়।তিনি আরও বলেন, শতাংশ যা-ই হোক, পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের উদ্দেশ্য হবে সব শিশুকেই সেবার আওতায় নিয়ে আসা। প্রতিটি শিশুর অধিকার আমদের নিশ্চিত করতে হবে।আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ড ভিশন-বাংলাদেশ’র ন্যাশনাল চাইল্ড প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর সাবিরা সুলতানা সংবাদকে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ শিশু এ নিয়ে সরকারের কোন পরিসংখ্যান না থাকায় তথ্যগত এই ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনগুলোর পক্ষেও শিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয় না। তবে এত গড়মিল থাকা ঠিক নয়। শিশুদের পরিসংখ্যান নিয়ে এই বিতর্কের অবসান দরকার। কেননা সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে শিশুদের জন্য বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে সরকারের।এদিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, শিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপনে সরকার শীঘ্রই বিবিএস’র সঙ্গে জরিপ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

সরকারি ও বেসরকারি তথ্যে গরমিল

আপডেট টাইম : ১১:৪১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০১৫

দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ শিশু এ নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। আলাদা আলাদা পরিসংখ্যান দিয়ে কাজ করছে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো। তথ্যের এই গড়মিল অনেকখানি। ১০ থেকে ১৫ শতাংশের। এদিকে শিশুর সঠিক পরিসংখ্যান জানার জন্য দ্রুত একটি জরিপ সম্পন্ন করার দাবি দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনগুলো।যা বলছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) তথ্যানুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৫ ভাগই শিশু। এ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে শিশুর সংখ্যা ৬ থেকে ৭ কোটি। অপর দিকে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ শিশুদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বলছে, মোট জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশু। সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। জনগোষ্ঠী ১৬ কোটি ধরলে সে হিসেবে শিশুর সংখ্যা হবে ৬ কোটি ৪০ লাখ।সংশ্লিষ্টরা যা বলছে৬৭টি শিশু সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আবদুস শহীদ মাহমুদ সংবাদকে বলেন, একেক জন একেকটা উৎসের উপর ভিত্তি করে শিশুদের পরিসংখ্যান নির্ধারণ করছে। কেউ বলছেন মোট জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শিশু। কেউ বলছে এই হার ৪৫ শতাংশ। আবার কেউ দাবি করছে এই হার ৪৭ শতাংশ। ৩০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে ১৫ শতাংশের ব্যবধান। এত তারতম্য থাকাটা ঠিক নয়। কেননা, পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা প্রণয়ন, লোকবল ও বাজেট বরাদ্দসহ সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এত বিস্তর তারতম্য থাকলে তো সব পদক্ষেপই ব্যর্থ হবে। শিশুদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে একটা নির্ধারিত পরিসংখ্যান থাকা উচিত। যেসব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদেরকেও সেই পরিসংখ্যান মেনে চলতে হবে।শিশুদের পরিসংখ্যানগত এই তারতম্য শিশুদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, শিশুদের কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় কোন কার্যক্রম নেই। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাজেট এগুলোতে শিশুদের কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোন কার্যক্রম নেই। তাই সংখ্যাগত তারতম্য প্রভাব ফেলে না। তবে সংখ্যাগত পার্থক্যই বড় সমস্যা।দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি শিশু হবে না বলে দাবি করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি সংবাদকে বলেন, মূল জনসংখ্যা কত তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি তথ্য থাকতে পারে। মোট জনসংখ্যার কত ভাগ শিশু তা জানার আগে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কত তা জানা দরকার। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। নির্বাচন কমিশন বলছে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ কোটি ৬২ লাখ। সরকারি এই দুই তথ্যই যদি সত্য হয় তাহলে দেশে শিশুর সংখ্যা হবে পাঁচ কোটির মতো। সেই হিসাবে মোট জনসংখ্যার ৩৫ থেকে ৪০ ভাগের বেশি শিশু হবার কথা নয়।তিনি আরও বলেন, শতাংশ যা-ই হোক, পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের উদ্দেশ্য হবে সব শিশুকেই সেবার আওতায় নিয়ে আসা। প্রতিটি শিশুর অধিকার আমদের নিশ্চিত করতে হবে।আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ড ভিশন-বাংলাদেশ’র ন্যাশনাল চাইল্ড প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর সাবিরা সুলতানা সংবাদকে বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ শিশু এ নিয়ে সরকারের কোন পরিসংখ্যান না থাকায় তথ্যগত এই ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনগুলোর পক্ষেও শিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয় না। তবে এত গড়মিল থাকা ঠিক নয়। শিশুদের পরিসংখ্যান নিয়ে এই বিতর্কের অবসান দরকার। কেননা সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলে শিশুদের জন্য বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে সরকারের।এদিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, শিশুদের সঠিক পরিসংখ্যান নিরূপনে সরকার শীঘ্রই বিবিএস’র সঙ্গে জরিপ পরিচালনা করতে যাচ্ছে।