হাওর বার্তা ডেস্কঃ এর আগে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট সেভেন স্মার্টফোনে ব্যাটারি বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরেছিল। সেসময় বেশ কিছু অভিযোগ আসায় স্যামসাংকে গ্যালক্সি নোট সেভেনের প্রায় ২৫ লাখ ইউনিট বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।
কিন্তু এবার স্যামসাংয়ের ১০০০ ডলারের ফ্লাগশিপ ফোন গ্যালক্সি নোট নাইনে এমনটা ঘটবে সেটা কেউ কল্পনাও করেনি। কারণ পূর্বের অভিজ্ঞতায় স্যামসাং ব্যাটারির নিরাপত্তায় বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। যা তাদের পরবর্তী ফোনে দেখা যায়। নোট সেভেনের পর আর কোনো ফোনে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি।
কিন্তু সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যালাক্সি নোট নাইন ব্যবহারকারী রিয়েল স্টেট এজেন্ট ডিয়ানে চুং প্রথমে লক্ষ্য করেন তার ফোনটি বেশ গরম হয়ে গেছে। পরে তিনি সেটা আর ব্যবহার না করে তার পার্সে রেখে দেন। এবং একটি এলিভেটরে ( লিফট) ওঠেন। কিছুক্ষণ পর তিনি তার ব্যাগ থেকে শব্দ শুনতে পান। এবং তার কিছুক্ষণ পর তিনি দেখেন তার ব্যাগ থেকে ঘন ধোঁয়া বের হচ্ছে। এতে তিনি ভয় পেয়ে ব্যাগ খুলে দেখেন ব্যাগ ভর্তি ধোঁয়া।
তিনি ব্যাগ খুলে জ্বলন্ত গ্যালাক্সি নোট নাইট বের করতে গিয়ে হাতের আঙুল পুড়িয়ে ফেলেন। এ সময় তিনি লিফটে একা ছিলেন। এরপর তিনি ধোঁয়া আচ্ছন্ন লিফটে কোনোমতে বাটন চেপে সেটিকে থামান এবং থামার পর ফোনটিকে লাথি দিয়ে লিফট থেকে বের করেন। তখনও নাকি সেই ফোনে আগুন জ্বলছিল। পরে এক ব্যক্তি সেটিকে কাপড় দিয়ে মুড়ে পানির বালতিতে ফেলে তার আগুন নিভান। এতে চুং আহত হন এবং তার ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। এমনই একটি আর্জি তিনি কোর্টে দায়ের করেছেন।
এদিকে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নোট নাইনের ব্যাটারি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ভিতর দিয়ে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ফলে এর ব্যাটারিতে আগুন ধরার কথা নয়। তাছাড়া নোট নাইন নিয়ে এমন অভিযোগ এর আগে তারা একটিও পাননি। তবে তারা এ বিষয়ে তাদের তদন্ত চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গ্যালাক্সি নোট সেভেনের ব্যাটারিতে আগুন ধরার অভিযোগে স্যামসাংকে বিপুল ক্ষতির মুখে পরতে হয়। তাদের বিক্রি পরে যায় এবং ২৫ লাখ ডিভাইস ফেরত নিতে হয়। সে অবস্থা থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়।
সম্প্রতি স্যামসাংয়ের প্রধান প্রতিপক্ষ অ্যাপল তিনটি নতুন আইফোন উম্মোচন করেছে। যা বেশ সাড়া ফেলেছে। এই অবস্থায় স্যামসাং সামনের মাসে একটি ইভেন্টে তাদের নতুন ফোনের ঘোষণা দেয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল বিপত্তি। এখন দেখা যাক, স্যামসাং কিভাবে এটা সামাল দেয়!