হাওর বার্তা ডেস্কঃ রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর ক্লান্ত লাগে, মিষ্টি বা ওই জাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছে হয়, মেজাজ খারাপ লাগে। এতে স্বজন বা সহকর্মীদের সঙ্গে অনেক সময় সম্পর্ক খারাপ হয়। আসলে এগুলো ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্যণ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। তাতে সারাদিন শরীরে শক্তি বজায় থাকবে। যেমন-
১. ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মূল খাবার খাওয়ার মাঝখানের সময়টিতে হালকা নাস্তা খাওয়া উচিত। বিশেষ করে দুপুরের খাবারের পর লম্বা বিরতি দিয়ে অনেকে রাতের খাবার খান। বিরতির এই সময়ে অবশ্যই হালকা নাস্তা করা উচিত। তবে তার মানে এই নয় যে, এই সময় মিষ্টি কিংবা লবণাক্ত খাবার খাবেন। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
২. অনেকে মনে করেন, ওজন কমালে যেহেতু ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর হয়, তাই সকাল, দুপুর কিংবা রাতের খাবারের যেকোনো একটি বাদ দেওয়া উচিত। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ ওঠানামা করতে পারে। বরং তিনবেলাই খেতে হবে; নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা অনুসারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রচুর শাকসবজি খাওয়া।
৩. কার্বোহাইড্রেট খেলে ডায়াবেটিসের তেমন উপকার হয় না। এ কারণে খাদ্য তালিকায় সবসময় প্রোটিন যোগ করা উচিত। যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে সেগুলো শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এ ধরনের খাবার খেলে সারাদিন শরীরে শক্তি থাকে।
৪. ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার তাদের শরীর অকেজো করে দিতে পারে। মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে শক্তি পাওয়া যায়; কিন্তু এর প্রভাবে কিছুক্ষণ পর শরীর আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে হালকা নাস্তা করলেও মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত।
৫. অনেকে সকালের নাস্তা না খেয়ে দুপুরে একসঙ্গে বেশি খান। এটা মোটেও ঠিক নয়। বরং সকালের নাস্তায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত; যাতে দুপুরের খাওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা পেট ভরা থাকে। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।