ঢাকা ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০১৭ সালে আ’লীগের আয় ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮
  • ২৯৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। একই অনুপাতে বেড়েছে দলটির ব্যয়ও। দলীয় কার্যালয় হিসেবে নতুন ভবন তৈরির কারণে দলটির আয়-ব্যয় এ পরিমাণ বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে বার্ষিক হিসাব জমা দেন।

এতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ আয় করেছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। বিপরীতে একই বছরে দলটির ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে তাদের ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।

বার্ষিক হিসাব জমা শেষে আব্দুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে, দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বোনাস-বেতন, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।’

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে প্রত্যেক বছরই আওয়ামী লীগ লাভের মুখ দেখছে। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। বিপরীতে ব্যয় করেছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। এর আগে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় করে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। এ বছরও দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।

২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।

ইসিতে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। ২০১৫ সালে বিএনপির আয় ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। ব্যয় ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি ছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন আব্দুস সোবাহান গোলাপ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতি বছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা না দিলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

২০১৭ সালে আ’লীগের আয় ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা

আপডেট টাইম : ০৪:০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৭ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। একই অনুপাতে বেড়েছে দলটির ব্যয়ও। দলীয় কার্যালয় হিসেবে নতুন ভবন তৈরির কারণে দলটির আয়-ব্যয় এ পরিমাণ বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে বার্ষিক হিসাব জমা দেন।

এতে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ আয় করেছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। বিপরীতে একই বছরে দলটির ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে তাদের ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।

বার্ষিক হিসাব জমা শেষে আব্দুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে, দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারীদের বোনাস-বেতন, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।’

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে প্রত্যেক বছরই আওয়ামী লীগ লাভের মুখ দেখছে। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। বিপরীতে ব্যয় করেছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা। এর আগে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় করে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। এ বছরও দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।

২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এ বছর প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।

ইসিতে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিএনপির মোট আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা। মোট ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৪ টাকা। ৫ কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৮ টাকা হাতে বা ব্যাংকে রয়েছে। ২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫২ টাকা। আয় বেশি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টাকা। ২০১৫ সালে বিএনপির আয় ছিল ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ টাকা। ব্যয় ছিল ১ কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ টাকা। ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা ঘাটতি ছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন আব্দুস সোবাহান গোলাপ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতি বছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা না দিলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে ইসি।