ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকার জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর থেকে অযৌক্তিকভাবে জিএসপি সুবিধা তুলে নিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ জিএসপি থেকে সব চেয়ে কম সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই এ ব্যাপারে বাংলাদেশের এখন অবস্থান, জিএসপি দিলে দাও না দিলে না।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এ সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি ফিরে পেতে কিছু শর্ত দিয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের ১৬টি শর্ত দিয়েছিলো। তা আমরা পূরণ করেছি। কম সুবিধা ভোগী হিসেবে শর্ত দেওয়াটা অযৌক্তিক। তারপরও আমাদের পোশাকখাতে রপ্তানি ৩২ মিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে জিএসপি আমাদের জন্য ইমেজের ব্যাপার।’
সাক্ষাতকারে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে রয়েছে – বাংলাদেশের দারিদ্র্য সীমা প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা, নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হিসেবে এগিয়ে যাওয়া, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে বর্তমানে সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিরোধীদল তাদের অবস্থানে থেকে রাজনীতি করছে। মতপার্থক্য থাকলেও তারা সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলছে, প্রয়োজনে ওয়াক আউট করছে।
বিএনপির শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির আমলে কি হয়েছে? সংসদে বিরোধীদল দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেনি। বিরোধীদের খিস্তি শুনতে হয়েছে।