হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে মাত্র ছয়টি আসন পেয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান। এখন তারা ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সঙ্গে জোট গঠনে দিকে একটু একটু করে এগুচ্ছে। একদিন আগেও এমকিউএম-পি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে।
কিন্তু এখন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করা দলগুলোর কাছেও তারা ঘেঁষতে রাজি না। এমনকি তারা জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান আয়োজিত বহুদলীয় সম্মেলনে যাবে না বলে জানিয়েছে।
এতে করে তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পিটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখছেন বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল এমকিউএম ও পিটিআই গত বছরর সেপ্টেম্বর থেকেই নিজেদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
পিটিআই জাতীয় পরিষদের তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা সাইয়েদ আহমেদ খুরশিদকে সরিয়ে দিতে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের সহায়তা চাইলে এ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে দল দুটি সিন্ধ প্রদেশে পরস্পরের প্রার্থীকেও সমর্থন দিয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু ১১৫ আসন পাওয়া পিটিআইকে সরকার গঠন করতে আরও ২২ আসনের সমর্থন লাগবে।
সেক্ষেত্রে ১৩ স্বতন্ত্র আসনের সমর্থন পেলেও আরও নয়টি আসন বাকি থাকে। পিটিআই প্রধান ইমরান খানের ডান হাত জাহাঙ্গীর তারিন এমকিউএম-পির আহ্বায়ক ডা. খালিদ মাকবুল সিদ্দিকীকে শুক্রবার ফোন দিয়েছেন।
এতে তাদের মধ্যে আলোচনার পথ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমকিউএম-পির মুখপাত্র আমিনুল হক বলেন, নির্বাচনে ভালো করায় ডা. সিদ্দিকীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারিন।
জানা গেছে, নির্বাচনে দুই পক্ষই পরস্পরের ম্যান্ডেট গ্রহণ করেছে। দ্রুতই একটি বৈঠকে বসার ব্যাপারে তারা একমত হয়েছেন। আমিনুল হক বলেন, ভবিষ্যৎ সরকার গঠনের ব্যাপারে এখনো কিছু ভাবা হয়নি।
কিন্তু সূত্র বলছে, এমকিউএম-পি ইতিমধ্যে পিটিআইকে সমর্থন জানিয়েছে। তারা চাচ্ছে, জোট গঠনে সমর্থন আদায়ে ইমরান খান এখন তাদের বাহাদুরাবাদের প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন করুক। এর আগে এমকিউএম-পি প্রধানমন্ত্রী পদে ইউসুফ রাজা গিলানি, রাজা পারভেজ আশরাফ, নওয়াজ শরীফ ও শহীদ খাকান আব্বাসীকে নিঃশর্ত সমথর্ন জানিয়েছিল।