হাওর বার্তা ডেস্কঃ চিকিৎসা পরিভাষায় ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রিংওয়ার্ম বা দাদ। এই রোগটি মূলত কিছু ফাঙ্গাসের আক্রমণে হয়ে থাকে এবং সব থেকের চিন্তায় বিষয় হল এই ত্বকের রোগটি শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি মাত্রায় হতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, রিং ওয়ার্ম কিন্তু ভিষণ ছোঁয়াছে। তাই পরিবারের কেউ এমন রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। না হলে অল্প দিনেই কিন্তু বাকি সম্প্রদয়েরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
প্রসঙ্গত, আধুনিক মেডিসিনের সাহায্যে রিংওয়ার্মের চিকিৎসা করা যেতে পারে। তাতে কাজও দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু ঘরোয়া উপাদান দারুন কাজে দেয়। আসুন জেনে নেয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে-
১) নিমের তেলের অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ দাদের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নিম তেল নিয়ে দাদের উপর বারে বারে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত নিম তেলের সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়েও লাগালেও কিন্তু এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
২) হলুদে রয়েছে বিপুল মাত্রায় অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, যা এই ধরনের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে প্রথমে অল্প করে হলুদ জল বানিয়ে নিন। তারপর তাতে তুলে চুবিয়ে যে যে জায়গায় দাদ হয়েছে, সেখানে আলতে করে লাগাতে থাকুন। প্রসঙ্গত, দিনে কমে করে ৩ বার এমনটা করলে রোগ সেরে যেতে শুরু করবে দেখবেন।
৩) ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও অ্যালোভেরা দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে অ্যালো ভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে দাদের উপর সরাসরি লাগাতে হবে। সারা রাত রেখে পর দিন সকালে ধুয়ে ফলতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই দেখবেন রোগ সেরে গেছে।
৪) রসুনে রয়েছে অ্যাজুইনা নামে এক ধরনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, যা যে কোনো ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে দারুন কাজে লাগে। তাই তো রিংওয়ার্মের ক্ষেত্রেও এই সবজিটি দারুন উপকারে লাগে। এক্ষেত্রে অল্প করে রসুনের কোয়া নিয়ে সেগুলিকে ছোট ছোট করে কেটে নিন। তারপর সেগুলিকে দাদের উপর রাখুন এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। এমনটা সারা রাত রাখলেই দেখবেন ফল পেতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, রসুনের কোয়ার পেস্ট বানিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালেও সমান উপকার পাওয়া যায়।