হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে কাজু বাদামের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এতো বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। কাজু বাদাম উদ্ভিদ প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। তাছাড়া, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ই এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে কাজু বাদামে। প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খেলে রক্তচাপ কমে। এছাড়া বেড়ে যায় ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা। ৩০০ জন ব্যক্তির ওপর একটি পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে অর্ধেক ব্যক্তিকে টানা তিন মাস প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে আনসল্টেড কাজুবাদাম খাওয়ানো হয়।
তিন মাস পর দেখা যায়, যাদের প্রতিদিন কাজু বাদাম খাওয়ানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে রক্তচাপ কমে গেছে এবং শরীরের জন্য উপকারী ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে।
উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানো ছাড়া শরীরের আর কী কী উপকার করে কাজু বাদাম? চলুন চট করে জেনে নেওয়া যাক।
. কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
. হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
. চুলের জন্য খুবই উপকারী, চুল কালো রাখতে সাহায্য করে
. প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম থাকায় কাজু বাদাম হাড়ের জন্যও বেশ উপকারী
. গলব্লাডার স্টোন প্রতিরোধে সাহায্য করে
. অতিরিক্ত ওজন কমাতে দারুণ ভূমিকা রাখে
. প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকায় অ্যানিমিয়া, পিলাগ্রা প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
. হজমের জন্য দারুণ উপকারী
. এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে
. ভালো ঘুম নিয়ে আসে
তবে একথাও ঠিক যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে এই বাদামটি খেলে কিন্তু শরীরের উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। কারণ উপকারি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে উল্টো ফল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে কাজু বাদাম, তাহলেই সুফল পাওয়া যাবে।