বিএনপি নেতা মন্টু পাঁচ দিনের রিমান্ডে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্টুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তিন এর বিচারক জাহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে মতিউর রহমান মন্টুকে তার রামচন্দ্রপুরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়, গত ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া মোড়ে বিএনপির পথসভায় হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় মন্টু জড়িত রয়েছেন এ ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এর আগে হিমেল নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে যদিও এখন শুনানি হয়নি।

এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রচারে বোমা হামলার ঘটনায় টেলিফোন আলাপের একটি অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশের দাবি, হামলার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর মধ্যে এই কথোপকথন হয়েছে। এতে যাকে মন্টু নামে দাবি করা হচ্ছে, তিনি টিপুকে বলছেন, ভাইয়ার (তারেক রহমান) কাছে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য দুইজনকে দিয়ে এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে টিপু জানান, এই ধরনের কোনো কথা বলেছেন কিনা- সেটি তার মনে নেই। আর মন্টুর সঙ্গে তার কথা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কত মানুষের সাথেই তো কথা হচ্ছে।

যদিও ঘটনার দিনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এটি বিএনপিই ঘটিয়েছে। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

গত ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের আগের দিনও এক অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয় একটি ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি ফেসবুকে। সেখানে ভোটের দিন নৌকার ব্যাচ পরে নাশকতা করার বিষয়ে কথা হয়।

ওই রেকর্ড প্রকাশের পর পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী মিজানুর রহমান আশুলিয়া থানা যুবদলের এক নেতাকে কয়েকটি সাহসী ছেলে যোগাড় করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা বলেন। তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্দেশনা মতো কাজ করবে-এমন কথা বলা হয়।

আইসিটি আইনে মামলায় মিজানুর এখনো কারাগারে। যদিও বিএনপি অভিযোগ করেছে, ওই কথোপকথন  সাজানো।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর