হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেদ কমানোর জন্য কতকিছুই তো করলেন। খাওয়া থেকে শুরু করে হাঁটাহাঁটি, জিমে যাওয়া। তবে ফলাফল কি পেয়েছেন? কিছুই না তাইতো? এতকিছু না আপনি আপনার রান্নাঘরের দিকে একটু নজর দিলেই এর থেকে বেশি উপকার পেতেন। কারণ, মেদ কমানোর জন্য আপনি যাই করেন না কেন রান্নাঘরে নজর দিলে আপনি আরও এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন। কিভাবে? আসুন জেনে নেই রান্নাঘরই মেদ কমাতে আপনাকে কিভাবে সাহায্য করে—রান্নায় ব্যবহার করুন নন স্টিক প্যান। বাসনে জমা তেল খাবারকে অস্বাস্থ্যকর বানায়। তেল কম লাগে এমন বাসন ব্যবহারে অসুখ কমার সঙ্গে মেদও কম থাকে। এয়ার ফ্রায়ারও হতে পারে ভাল বিকল্প।
খাবারের তেল থেকে সিংহভাগ ফ্যাট জমে শরীরে। বেশি তেল এড়াতে রান্নাঘরে রাখুন তেলের স্প্রে। তেলের বোতল বা বয়ামের বদলে স্প্রে ব্যবহার করলে খাবারে তেলের পরিমাণ কমবে। তেল কমলেই শরীরে ফ্যাট কমবে।
রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে রাখুন কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, কাঠবাদামের বয়াম। হালকা খিদে পেলে অকারণ স্ন্যাক্স থেকে বাঁচতে সেরা উপায় এটাই। এরা যেমন মেদ কমাবে, তেমন পেটও ভরাবে।
রান্নাঘরে রাখতেই পারেন মনের মতো ম্যাসন। আজকাল বাহারি নানা ম্যাসন বিক্রি হয়। এরা রান্নাঘরের সৌন্দর্য তো বাড়ায়ই, সঙ্গে এই ম্যাসনেই জমিয়ে রাখতে পারেন নিজের স্যালাড, ওটমিল বা ফুল ক্যালোরি ডায়েট। প্রয়োজনে ডায়েটের খাবার এই ম্যাসনে করে অফিসেও নিয়ে যেতে পারেন।
রান্নাঘরের বাসন মুছতে যে তোয়ালে বা কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করেন, তা তেলচিটে নয় তো? সেদিকে খেয়াল রাখুন। তেলচিটে তোয়ালের জমে থাকে তেল বাসনের গায়ে লেগে থাকলে খাবার অস্বাস্থ্যকর তো হয়ই, সঙ্গে পুরনো তেল ক্ষতি করে পাকস্থলীর। ওজনও বাড়ায় অনেক।
রান্নায় অতিরিক্ত মশলা ব্যবহার করা ঠিক নয়। তবে কিছু মশলা ওজন কমাতে সাহায্য করে ম্যাজিকের মতো। রান্নার ব্যবহার করুন দারুচিনি, আদা ও গোলমরিচ। এগুলো আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাবে ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
আপনার রান্না ঘরে আর কিছু থাকুক আর না থাকুক। সবজি তো নিশ্চই থাকে তাই না? তাই প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এক বাটি ভর্তি ফল ও সবজি খাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর পাবে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল ও ভিটামিন। আর এগুলো আপনার রক্তের মেটাবলিজম বাড়িয়ে পেটের চর্বি কমিয়ে আনবে সহজেই।
কাঁচা মশলার মাঝে আমাদের রান্নাঘরে পেঁয়াজের সাথে জোট বেঁধে যে মসলাটা থাকে সেটা হচ্ছে রসুন। প্রতিদিন সকালে উঠেই খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন, এর ঠিক পরপরই পান করুন লেবুর রস। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে দ্বিগুণ দ্রুতগতিতে কাজ করবে। তাছাড়া দেহের রক্ত চলাচলকে আরও বেশি সহজ করবে এটি।