হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাজু বাদাম সুস্বাদু একটি ফল। এটি একটি অর্থকরি ফসল। বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয়। বেলে দো-আশঁ মাটি অথবা পাহাড়ের ঢালে ভালো জন্মে। এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কাজু বাদামের চাষ বেশি হয়। কাজু বাদাম সাধারণত ভেজে খাওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত কাজুবাদামকে দা দিয়ে কেটে খুঁচিয়ে শাঁস বের করা হয়। তারপর রোদে শুকিয়ে বীজের আবরণ তুলে ফেলা হয়। লবণ-পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে তারপর ভাজা হয়। এতে লবণাক্ত স্বাদের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। আর মিষ্টি স্বাদের কাজুবাদামের জন্য বাদাম ভাজার পর চিনির শিরায় ডুবিয়ে নেওয়া হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাজু বাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি থাকে। কাজু বাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে।
এ অর্থকরী ফসলের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ-
১. কাজু বাদামে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাবিধ হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকরী কাজু বাদাম। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. কাজু বাদামে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি টিউমার যাতে দেখা না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে। এ কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন এক মুঠো করে কাজু বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪. প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা জিঙ্ক, ভাইরাসের আক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। যদি এই ধরনের ইনফেকশনের শিকার প্রায়শই হয়ে থাকেন, তাহলে ডায়েটে কাজু বাদাম রাখতে পারেন।
৫. কাজু বাদামে রয়েছে ওলিসিক নামে এক ধরনের মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা দেহে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৬. বর্তমানে যে হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাদাম খাওয়ার প্রয়োজন বেড়ে যাচ্ছে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে- প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও কাজু বাদামে প্রচুর কপার জাতীয় খনিজ থাকে, যা চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্তপোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।