হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাতাল প্রবেশ করতে পারবেন? যদি পারেন, হাতে পাবেন সাত রাজার ধন এক মাণিক। এখানে অবশ্য এক মাণিক নয়, কোটি কোটি মাণিক। ঠিকই শুনছেন। পৃথিবীর মাটির নীচে লুকিয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার হীরা। পড়ে রয়েছে অযত্নে, অবহেলায়। এখনও পর্যন্ত কেউ গিয়ে পৌঁছাতে পারেনি সেই রত্ন খনিতে।
বিশেষজ্ঞরা কিন্তু তেমনই জানাচ্ছেন। বলা হয়েছে পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে রয়েছে কয়েক লক্ষ কোটি টন হীরা। ভূস্তরের গভীরে সিসমিক রশ্মি পাঠিয়েছে আমেরিকা।
ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের এই অনুমান প্রকাশিত হয়েছে ‘জিওকেমিস্ট্রি, জিওফিজিক্স, জিওসিস্টেম’ জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে অত্যাধুনিক সিসমোগ্রাফের সাহায্যে পৃথিবীর অভ্যন্তরের পূর্ণাঙ্গ ছবি তোলা সম্ভব। এতে বোঝা যাবে ভূমিকম্প সংক্রান্ত তথ্যও।
কয়েক বছর ধরে একটি বিষয়ের গবেষণা করছিলেন ভূবিজ্ঞানীরা। তাদের প্রশ্ন ছিল ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৬১ কিমি গভীরে সিসমিক রে স্বাভাবিকের চেয়ে কেন দ্রুত গতিতে ছুটে চলে? এর উত্তর জানা ছিল না এতদিন।
এমআইটি ও হার্ভার্ডের বিশেষজ্ঞ দল বলছেন এই গভীরে রয়েছে ক্রেটনিক রুটস। যা গাছের শিকড়ের মতো ছড়িয়ে রয়েছে মাটির ওই গভীরে। বিভিন্ন খনিজ দিয়ে তৈরি পাথর জমে জমে এই হীরার উদ্ভব হয়েছে। আর তা সংখ্যায় কয়েক লক্ষ কোটি। তবে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে পরিমাণ পাথর সেখানে আছে, হীরার পরিমাণ তার ১-২ শতাংশ।
তবে তার পরেও রয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। মানুষ কি কখনও তা উদ্ধার করতে পারবে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রযুক্তির দ্বারা তা সম্ভব নয়। নথি বলছে, মানুষ সবচেয়ে গভীর খুঁড়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১২.২৩১ কিমি পর্যন্ত। তাই কয়েক শ’ কিমি গভীর গর্ত তৈরি করা এখনই সম্ভব নয়৷ তবে ভবিষ্যতে যে তা উদ্ধার করা যাবে না, সেকথা জোর দিয়ে বলা যায় না।