ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি সোলার পার্ক হচ্ছে কক্সবাজারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩০৫ বার

বেসরকারি খাতে সোলার পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। আর এই পার্কটি স্থাপন করছে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি। কক্সবাজারের টেকনাফে ২০ বছর মেয়াদের ২০০ মেগাওয়াটের দরপত্র প্রস্তাব আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য কোম্পানিকে ৮ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে এর আগে ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন। সে সময় তিনি নির্দিষ্ট করে বেশ কয়েকটি স্থানের মধ্যে শুধু কক্সবাজারের বিষয়টি অনুমোদন দেন।
জানা গেছে, কোম্পানিটি নিজেদের টাকায় ও নিজেদের ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ব্যবস্থা করবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন, সাবস্টেশন নির্মাণের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে। প্রকল্পের স্থান নির্বাচনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও কক্সবাজারের টেকনাফ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করার পর কমিটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত কক্সবাজারের অনুমোদন দেন। এই সোলার পার্কের বৈশিষ্ট্য হবে- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ কিনলেও, বিদ্যুৎ না পেলে কোনো ধরনের পেমেন্ট করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পরিবেশ দূষণকারী প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় সরকার। একই সঙ্গে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও প্রসারে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় ২০১৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮০০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশে প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ছে। আর ২০২১ সালে প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া বর্তমানে বিকল্প আর কোনো ব্যবস্থা নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেসরকারি সোলার পার্ক হচ্ছে কক্সবাজারে

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০১৫

বেসরকারি খাতে সোলার পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। আর এই পার্কটি স্থাপন করছে সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি। কক্সবাজারের টেকনাফে ২০ বছর মেয়াদের ২০০ মেগাওয়াটের দরপত্র প্রস্তাব আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য কোম্পানিকে ৮ হাজার ৫৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে এর আগে ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন। সে সময় তিনি নির্দিষ্ট করে বেশ কয়েকটি স্থানের মধ্যে শুধু কক্সবাজারের বিষয়টি অনুমোদন দেন।
জানা গেছে, কোম্পানিটি নিজেদের টাকায় ও নিজেদের ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ব্যবস্থা করবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ট্রান্সমিশন লাইন, সাবস্টেশন নির্মাণের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে। প্রকল্পের স্থান নির্বাচনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও কক্সবাজারের টেকনাফ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করার পর কমিটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত কক্সবাজারের অনুমোদন দেন। এই সোলার পার্কের বৈশিষ্ট্য হবে- বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যুৎ কিনলেও, বিদ্যুৎ না পেলে কোনো ধরনের পেমেন্ট করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, পরিবেশ দূষণকারী প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় সরকার। একই সঙ্গে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও প্রসারে গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় ২০১৫ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর ২০২০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮০০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশে প্রতি বছর বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ছে। আর ২০২১ সালে প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়া বর্তমানে বিকল্প আর কোনো ব্যবস্থা নেই।