হাওর বার্তা ডেস্কঃ থানকুনি পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটি আয়ুর্বেদিক, প্রাচীন আফ্রিকীয়, চৈনিকসহ অনেক দেশের চিকিৎসাবিদ্যায় বহুল ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, সিংহল, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি এবং এশিয়ার অন্যান্য প্রান্তে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশেও ঔষুধি হিসেবে এ পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
থানকুনি পাতার অনেক ঔষুধি গুণ রয়েছে-
পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহার: পেটের রোগে যারা নিয়মিত ভোগেন, তারা রোজ থানকুনি পাতা খান। সকালে খালি পেটে কয়েকটা থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন।
মুখে ঘা ও অন্যান্য ক্ষতে উপকারী: কেবল পেটের ব্যথা ছাড়াও আলসার এবং বিভিন্ন চর্মরোগ থানকুনি দ্বারা নিরাময় করা সম্ভব। ত্বকের উজ্জলতা এবং নতুন চুল গজাতে এর জুড়ি নেই।
ত্বক ও চুলের যত্নে: ত্বকের জেল্লা বাড়াতে থানকুনি পাতার রস খুবই ফলদায়ক। থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। চুল পড়া রোধ করে থানকুনি পাতা।
স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে: স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী। এছাড়া আধা কেজি দুধে ১ পোয়া মিশ্রি ও আধা পোয়া থানকুনির পাতার রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এক সপ্তাহ খেলে পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হবে।
সহজে সহায়ক: বেগুন/পেপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুঁকতা রান্না করে প্রতিদিন এক মাস খান। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও সর্দি ও আমাশয়ের চিকিৎসায়ও থানকুনি পাতা বেশ কার্যকরী।