হাওর বার্তা ডেস্কঃ লালশাক রূপে যেমন মনোহারী, গুণেও তেমন কার্যকরী। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ শাকের মধ্যে লালশাক অন্যতম। দাঁতের সুস্থতা, হাড় গঠন, গর্ভবতী এবং প্রসূতি মায়েদের দৈনিক ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে এ শাক খুব উপকারি। গর্ভবতী অবস্থায় এর অভাবে মা ও শিশুর নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ন্ত শিশুর ক্যালসিয়ামের অভাবে দৈহিক গঠন দুর্বল এবং হাঁটা বিলম্বিত হয়। লালশাক রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
লালশাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করতে এ শাকের ভূমিকা অনেক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন বি১ ও বি২, ভিটামিন সি, ক্যারোটিন।
ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুদের রিকেটস এবং বয়স্কদের অস্টিও পোরেসিস রোগ হয়। সুতরাং অন্যান্য ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্যের পাশাপাশি সস্তা ও সহজলভ্য লালশাক খাওয়া উচিত। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের লালশাক খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার।