পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচ ওয়ানডে এবং দু’টি টি-টোয়েন্টি সিরিজি খেলতে পাকিস্তানের আছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল।বুধবার পাকিস্তানের নারী দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই হোঁচট খেয়ে বসে সালমা বাহিনী। স্বাগতিকদের বিপক্ষে হার মানতে হয় মাত্র ২৯ রানে ব্যবধানে। পাকিস্তানের করা ৫ উইকেটে ১২৫ রানের জবাবে ৭ উইকেটে করে ৯৫ রান সফরকারীরা।
আজ করাচির সাউথ এন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের অধিনায়ক সানা মীর। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের চাপে শুরুটা ভালো হয়নি পাকদের। প্রথম ওভারেই ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের মারিনা ইকবাল (১)। এরপর জাভেরিয়া খান এবং বিসমাহ মারুফের ব্যাটের উপর ভর করে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। জাভেরিয়া ব্যক্তিগত ৪৪ রানে ফিরলেও অর্ধশত পূর্ণ করেন বিসমাহ।
জাভেরিয়া নাহিদা আক্তারের বলে উইকেটকিপার নিগার সুলতানার তালু বন্দী হয়ে ফিরলে নামেন আরেক ব্যাটসম্যান নিদা দার। তিনিও ফেরেন মাত্র ৪ রানে। এবারও শিকারী নাহিদা আক্তারের বলে। এরপর নামেন ইরাম জাভেদ। কিন্তু তাকেও বেশিক্ষণ মাঠে স্থায়ী হতে দেননি জাহানারা আলম। একদম বোল্ড করে ফেরান তাকে।
ইরাম ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন আসমাভিয়া ইকবাল। তাকেও ইনিংসের একদম শেষ বলে মাত্র ১ রানেই ফিরিয়ে দেন ফাহিমা খাতুন। শেষ পর্যন্ত টাইগ্রেসদের বোলিং চাপে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৫ রান। বিস্মাহ মারুফ ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিকে ১২৫ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে সালমা বাহিনী। আয়েশা রহমান, ফারজানা হক এবং রুমানা আহমেদ ২ ঘরের রান ছুঁতে পারেন। ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি একই মাঠে ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।