হাওর বার্তা ডেস্কঃ অষ্টগ্রামে উপজেলা দেওঘর ইউনিয়নের পাওন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাও. মোঃ জাকির হোসেন কে (৩৫) কে মারধর করায় ব্যাপক উত্তেজনা, ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদশী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে মাও. মোঃ জাকির হোসেন তার নিজ বাড়ি কাগজী গ্রাম হতে বাই সাইকেল যোগে পাওনে জামে মসজিদ আযান দিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় উৎপেতে থাকায় পরিচিত ৪জনসহ ৮/১০ জনের মুখোশধারী দল তাকে রাস্তায় আটক করে মারধর শুরু করে এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পরে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে।তখন আসলে মুখোশধারী পালিয়ে যায়। একই গ্রামে রিক্সাচালক মাসুদ মিয়া (৪২) সহ লোকজন তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে কাগজী গ্রাম, দেওঘর সদয় নগর পাওনসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত লোকজন দা, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোশধারীদের ধরতে কাগজী গ্রাম ঘেরাও করে। এই সময়ে গ্রামে কিছু দোকান বাড়ি ভাংচুর এবং একটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দারী, থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলা আহলে সুন্নাত জামাতের নেতা মাও. কাজী জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন কাগজী গ্রামের পছন্দ আলীর পুত্র ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আলীনগর কওমী মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রায়হান (১৯) কে আটক করে বলেছে থানা সূত্রে জানা।
উপজেলা হাসপাতালে মাও. মোঃ জাকির হোসেন ও উদ্ধারকারী ও রিক্সাচালক মাসুদ মিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যপারে অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মোল্লা জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।