হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তান দুইটি দলকেই এশিয়া কাপে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। থাইল্যান্ডকে তো রীতিমতো খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছেন রুমানা-সালমারা। কাল টুর্নামেন্টের স্বাগতিক মালয়েশিয়াও দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশের সামনে। ৭০ রানের বিশাল জয় নিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে গেছেন দেশের নারী ক্রিকেটাররা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৪ উইকেটে ১৩০ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে অলআউটের শঙ্কা এড়িয়ে ৯ উইকেটে মাত্র ৬০ রান করেছে মালয়েশিয়া।
অবশ্য মালয়েশিয়ার বিপক্ষে সালমা বাহিনীর জয়টা অনুমিতই ছিল। দেখার বিষয় ছিল স্বাগতিক শিবির বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে কিনা। অনুমানটাই সত্যি হলো। মালয়েশিয়াকে ন্যূনতম লড়াইয়ের সুযোগটুকু দেননি সালমা-রুমানারা। আজ স্বপ্নের শিরোপা লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথটা মসৃণ করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সমীকরণটা তাই সহজই ছিল। মালয়েশিয়াকে হারালেই ইতিহাস। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দারুণ জয় দিয়ে সেটাই করল সালমার দল। বাংলাদেশের ইতিহাসের দিনে আবার অঘটনের শিকার হয়েছে শ্রীলঙ্কা। কাল লঙ্কানদের হারিয়ে দিয়েছেন থাইল্যান্ডের মেয়েরা।
বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান তুলেছিলেন শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। জুটি ভাঙে দশম ওভারের পঞ্চম বলে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ বলে ৩১ রান করে আউট হয়েছেন আয়েশা। এক রানের মধ্যে ফারজানা (৭) ও শামিমা (৫৪ বলে ৪৩ রান) ফিরে গেলে হঠাৎ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৮৭ রান নিয়ে ১৬তম ওভার শেষ হয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাবে কিনা সংশয় জেগেছিল তা নিয়েই। কিন্তু শঙ্কাটা কেটে যায় ফাহিমা খাতুনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। ১২ বলে ২৬ রানের বিধ্বংসী ইসিংস খেলেন ফাহিমা। তার ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই শেষ চার ওভারে ৪৩ রান করেছে বাংলাদেশ। ১২ বলের ইনিংসে তিনটি চার হাঁকান ফাহিমা।
১৩০ রানটাই মালয়েশিয়ার কাছে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়ায়। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে স্বাগতিকরা। এক দিকে উইকেট পতনের মিছিল অন্যদিকে রানের চাকার ধীরগতি। সঙ্গে বাংলাদেশের মেয়েদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। শেষ অবধি স্কোর বোর্ডে ৬০ রান জমা করতে পেরেছিল মালয়েশিয়া। আর তাতেই জয়হীনভাবে শেষ হয় স্বাগতিকদের এশিয়া কাপের মিশন। আসরে চার ম্যাচের সবকয়টিতেই হারল মালয়েশিয়া।
স্বাগতিকদের পতন হওয়া উইকেটের তিনটি নিয়েছেন রুমানা আহমেদ। ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়েছেন তিনি। ৮ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন খাদিজা-তুল-কোবরা। এছাড়া একটি করে শিকার করেছেন সালমা, নাহিদা এবং জাহানারা।