ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকটের এটা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় : সু চি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮
  • ২৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই প্রথম কোনও মিডিয়াকে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। বৃহস্পতিবার জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকেতে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে সু চি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ দিনের, এটা রাতারাতি সমাধান সম্ভব করা নয়। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ তাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের অন্য মানুষের মনে যে গভীর বিদ্বেষ রয়েছে, সেটা দূর হতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য দুই পক্ষকেই সমানভাবে কাজ করতে হবে।

সাক্ষাৎকারে কত দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, এই বিষয়টি যতটা আমাদের ওপর নির্ভর করছে, ঠিক ততটা বাংলাদেশের ওপরও। এটা হচ্ছে একটি দ্বিমুখী বিষয়।

গত বুধবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সু চি বলেন, চুক্তিতে শরণার্থীদের ব্যাপারে যেসব দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত তার সবই আমরা গ্রহণ করেছি।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক বাস্তবতা নিয়ে জানতে চাইলে সু চি বলেন, মিয়ানমারে সামরিক প্রভাব এখনো শক্তিশালী। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন এখন পর্যন্ত জেনারেলদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। আসলে আমরা এখনো পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের সংবিধানও পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকটের এটা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় : সু চি

আপডেট টাইম : ০৪:৫৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই প্রথম কোনও মিডিয়াকে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। বৃহস্পতিবার জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকেতে তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারে সু চি বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ দিনের, এটা রাতারাতি সমাধান সম্ভব করা নয়। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ তাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের অন্য মানুষের মনে যে গভীর বিদ্বেষ রয়েছে, সেটা দূর হতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য দুই পক্ষকেই সমানভাবে কাজ করতে হবে।

সাক্ষাৎকারে কত দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, এই বিষয়টি যতটা আমাদের ওপর নির্ভর করছে, ঠিক ততটা বাংলাদেশের ওপরও। এটা হচ্ছে একটি দ্বিমুখী বিষয়।

গত বুধবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সু চি বলেন, চুক্তিতে শরণার্থীদের ব্যাপারে যেসব দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত তার সবই আমরা গ্রহণ করেছি।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক বাস্তবতা নিয়ে জানতে চাইলে সু চি বলেন, মিয়ানমারে সামরিক প্রভাব এখনো শক্তিশালী। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন এখন পর্যন্ত জেনারেলদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। আসলে আমরা এখনো পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের সংবিধানও পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নয়।