হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামাইয়ের বিরুদ্ধে দফায় দফায় চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় মেয়ে ও নাতনিকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করলেন শ্বাশুড়ি লক্ষ্মী দাস। ঘটনাটি ঘটেছে বর্তমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
লক্ষ্মী দেবী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে রাজস্থানের হনুমানগড়ের টিবা এলাকার বাসিন্দা পাপ্পু সিং-এর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর মেয়ে দিপালী দাসের। বিয়ের আগে পাপ্পু সিং লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থাকতেন। পেশায় তিনি সোনারূপোর কাড়িগর।
লক্ষ্মীদেবীর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাই পাপ্পু তাঁর মেয়ে দিপালীর উপর অত্যাচার শুরু করে। দফায় দফায় তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। বিয়ের কিছুদিন পর বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে পারেনি দিপালী।
তখন তাঁকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে পাপ্পু। মেয়ে-জামাই ভালো থাকবে এই আশায় দিপালীকে রাজস্থানে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন লক্ষ্মীদেবী। দিপালীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর কথাও বলে পাপ্পু সিং।
এদিকে, রাজস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ফের তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে পাপ্পু। ফের বাপের বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা আনার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে পাপ্পু সিং। এমনকি টাকা না পেলে তাকে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকিও দেয় পাপ্পু। ইতিমধ্যেই দিপালী দেবীর একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
এদিকে, সম্প্রতি লক্ষ্মীদেবী তাঁর মেয়ে ও নাতনির খোঁজ নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয় দিপালী ও তার মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনার পরই মেয়ে ও নাতনির হদিশ পেতে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানা যায়। বর্ধমান থানার পুলিশ তাঁকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুফল না পাওয়ায় লক্ষ্মীদেবী সিজেএমে মামলা দায়ের করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান থানাকে কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।