মনোয়ার হোসাইন রনিঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের ১৯১তম ঈদুল ফিতর ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থার নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পুলিশ ও পর্যায়ের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি। ঈদগাহে ফায়ার সার্ভিস এবং মেডিক্যাল টিমও থাকবে। এছাড়া ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকা পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। থাকবে আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর।
এ বছর ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। তিনি কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে ইমামতি করবেন মুফতি শোয়াইব বিন আবদুর রউফ।
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বিগত জঙ্গি হানার সময় ইমামতি করতে পারেননি। তখন ইমামতি করেছিলেন মুফতি শোয়াইব বিন আবদুর রউফ।
মুফতি শোয়াইব বিন আবদুর রউফ বলেন, ‘প্রশাসন ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা জাতীয় ঐতিহ্যপূর্ণ শোলাকিয়া ঈদগাহে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, এ বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।’
শোয়াইব বিন আবদুর রউফ কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ায় অধ্যাপনা করেন এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ বড়বাজার জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্বে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকসসক্তি ও অপরাপর অপরাধমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ইসলামের অবস্থান সুস্পষ্ট। ইসলাম হলো-শান্তি, আলো ও মানবকল্যাণের বিশ্বজনীন ধর্ম। ইসলামের অবস্থান ভালো, ন্যায়, শুভবোধ ও ইতিবাচকতার পক্ষে। ঈদের জামাত ও অন্যান্য ধর্মীয় সমাবেশে বিদ্যমান বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও অপরাধের বিরুদ্ধে ইসলামের শান্তি ও কল্যাণময় অবস্থানের দিকগুলো উপস্থাপন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।’
শোয়াইব বিন আবদুর রউফ আরও বলেন, ‘জ্ঞান ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে ইসলামের মূল চেতনা ও মর্মবাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অপরাধ, হানাহানি ও নৈরাজ্য অনেকাংশেই কমে আসবে। দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়ার ঐতিহাসিক ঈদগাহ থেকে আমরা ইসলামের শান্তি ও কল্যাণের মহামানবিক বার্তার ধ্বনি দেশ।