হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিশেষ করে ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো শক্তিশালী করার মাধ্যমে দুর্গম ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি সম্ভব। ইউএসএইডের মা মনি হেলথ সিস্টেমস স্ট্রেন্দেনিং (মামনি এইচএসএস) প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উদ্যোগে ‘সরকারি স্বাস্থ্যখাতের স্বাস্থ্যকেন্দ্র শক্তিশালী করার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বৃদ্ধি করা’ শীর্ষক এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় বক্তারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সন্তানপ্রসব পূর্ব, প্রসবকালীন ও প্রসবপরবর্তী সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা জানান, মামনি প্রকল্পের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থানীয় কমিউনিটি সম্মিলিতভাবে স্ব স্ব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্রের উন্নয়নে এগিয়ে আসে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নানা ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করে এবং নিবিড় তদারকির মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ প্রয়োজন মাফিক লোকবল নিয়োগ দিয়ে, কখনো বা অবকাঠামো সারিয়ে তুলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সেবা প্রদানের জন্য তৈরি করেছে। এ প্রক্রিয়ায় গত দুই বছরে শতাধিক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র ২৪/৭ সেবাকেন্দ্রে উন্নীত হয়।
তারা বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রসবের হার তিনগুণ বেড়েছে। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ ও ঝালকাঠি- এ চার জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাড়ে ১৫ হাজার নরমাল ডেলিভারি হয়।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. কাজী মোস্তফা সারোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সচিব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ডিভিশন) ফায়েজ আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সেভ দি চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক মান্নান, ইউএনএফপিএ’র চিফ হেলথ সাথিয়া নারায়ণ দোরাসসোয়ামি, পরিচালক অফিস অব পপুলেশন, হেলথ নিউট্রেশন অ্যান্ড এডুসেশন ইউএসএআইডি/বাংলাদেশ প্রমুখ।