হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৯৭০ সালে স্বামী মারা গেছেন। এর পর ৪৮ বছর পার হয়েছে। বয়স বেড়ে হয়েছে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে। পড়নে ছেড়া কাপড়, ঘরে বেড়া নেই, চোখে মুখে অপুষ্টির চিহৃ। অপরের কাছে হাত পেতে কোনো মতে জীবনযুদ্ধে টিকে আছেন অসহায় ও হতদরিদ্র বিধবা নারী মালেহা।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঢেঁকিয়া এলাকার মৃত সুরুজ আলীর স্ত্রী মালেহা। দুইশতক ভিটেবাড়ি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তার। একমাত্র ছেলে নূরুল ইসলাম বিয়ে করে আলাদা হয়ে রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। তিন কন্যাকে বিয়ে দেয়ার পর এক মেয়ে মোমেনা বিধবা হয়ে মায়ের কাছে ফেরত আসে। অসুস্থ বৃদ্ধা মালেহার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই। মানুষের কাছে হাত পেতে কোনো মতে অর্ধাহারে দিনানিপাত করছেন তিনি।
কিন্তু স্বামী মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পার হলেও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। এছাড়াও সরকারের দেয়া বয়স্ক ভাতাও পাননি তিনি। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা তাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা আর পাননি-এমনটাই জানালেন বিধবা নারী মালেহা। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, ‘বহু বছর ধরে নাড়ি (বিধবা) হলাম, মরার পর ভাতা দিয়ে কি করব’।