ধূমপান ছাড়তে চান? আসে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিন। মানসিকভাবে প্রস্তুতিটাই মূল হাতিয়ার। অনেকেই চেষ্টা করেন দীর্ঘমেয়াদী এ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে। কেউ পারেন, কেউ পারেন না। যারা ধূমপানের আসক্তি থেকে মুক্ত হতে চান তাদের জন্য একটা সুখবর! থাইল্যান্ডের শ্রীনাখারিনউইরত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের নতুন এক গবেষণা বলছে, ধূমপান এড়াতে লেবুর শরবত বেশ কাজ দেয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, লেবুর শরবত ও নিকোটিন গাম প্রায় একে অন্যের পরিপূরক।
নিকোটিন গামের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। তবুও একটু বলি, নিকোটিন গাম হলো এক প্রকার চুইংগাম। এই গাম চিবানোর মাধ্যমে শরীরে নিকোটিন প্রবেশ করে। যারা ধূমপান ছাড়তে চান তাদের নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিতে এই গাম ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
নতুন গবেষণায় ১৮ ও এর বেশি বয়সী ধূমপায়ীদের ওপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে ভাগ করা হয় ধূমপায়ীদের দু’টি দলে। ধূমপানের আসক্তি এড়াতে প্রথম দলটিকে লেবুর শরবত ও দ্বিতীয় দলটিকে নিকোটিন গাম সেবন করতে বলা হয়। এরপর নয় থেকে ১২ সপ্তাহ পর পাওয়া যায় পরীক্ষাটির প্রাথমিক ফলাফল।
অংশগ্রহণকারীদের ধূমপানের মাত্রা কতখানি কমেছে তা পরিমাপ করা হয় তাদের কার্বন মনোক্সাইড নির্গমনের মাত্রা অনুযায়ী। অন্যদিকে, লেবুর রস ও নিকোটিন গাম সেবনের পর তাদের ধূমপান করার আকাঙ্ক্ষা কতখানি রয়েছে তা পরিমাপ করা হয় ভিজ্যুয়াল এনালগ স্কেলের মাধ্যমে।
প্রাপ্ত ফলাফলে দু’টি দলের মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। বরং চার সপ্তাহ পর দেখা গেছে, যারা নিকোটিন গাম নিয়েছেন তাদের তুলনায় যারা লেবুর শরবত সেবন করেছেন তাদের ধূমপান আসক্তি কমেছে।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, যারা লেবুর শরবত সেবন করেছেন তাদের আসক্তি কমেছে ৫৮. ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, যারা নিকোটিন গাম নিয়েছেন তাদের আসক্তি কমেছে ৩৮.৩ শতাংশ হারে।
অতঃপর গবেষণাটি সংযুক্ত করেছে, তাজা লেবুর শরবত ধূমপান আসক্তি কমাতে সফলভাবে কাজ করে।
রেসিপি:
২টি লেবু, ১ চা চামচ চিনি, ১ কাপ পানি, পরিমাণমতো বরফ