ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁঠালের বিচি কেন খাবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মে ২০১৮
  • ৩৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো অনেক উপকার পাওয়া যায়।

কাঠালের বিচির উপকারিতাগুলো জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এক নজরে দেখে নিন সেই উপকারিতাগুলো কী কী।

১. প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়

শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে যে যে উপাদনগুলোর প্রয়োজন, তার মধ্যে অন্যতম হল প্রোটিন। তাই এই উপাদানটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁঠালের বীজ। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা দেহে প্রোটিনের চাহিদা মেটায়।

২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

অল্প সময়েই ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হোক তা কে না চায়। এমনটা যদি আপনিও চান, তাহলে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া শুরু করুন। এই বিচিতে বিদ্যমান ফাইবার, দেহের ভেতর একাধিক রোগকে যেমন বাসা বাঁধতে দেয় না, তেমনি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাঁঠালের বীজে সাহায্য করে।

৩. সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়

বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বিচি সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, একাদিক কেস স্টাডি একথা প্রমাণ করেছে যে হজমের সমস্যা কমাতেও কাঁটালের বিচি দারুন কাজে আসে।

৪. ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে বেশ কিছু শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্রসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫. বলি রেখা কমায়

ত্বককে সতেজ এবং সুন্দর রাখতে ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বিচির। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিচি নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আর যদি হাতের কাছে মধু থাকে, তাহলে সেটিও এই পেস্টটি বানানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। দেখা গেছে পেস্টটির সঙ্গে মধু যোগ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বৃদ্ধি পায়।

৬. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে

অ্যানিমিয়ায় রোগীর সংখ্যার দিক থেকে গত এক দশকে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত এক নম্বরে উঠে এসেছে। আর এত সংখ্যক রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এই অবস্থার পরিবর্তনে কাঁঠালের বিচি কার্যকারী ভূমিকা রাখে। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৭. হজম শক্তি বাড়ায়

পরিমাণ মতো কাঁঠালের বিচি নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি বেটে নিয়ে চটজলটি গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. বিষণ্নতা দূর করে

দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে অনেকেই বিষণ্নতায় ভোগেন। এই বিষণ্নতা দূরীকরণে কাঁঠালের বিচি বেশ কার্যকারী। এই বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের ভেতরে কেমিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে বিষণ্নতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁঠালের বিচি কেন খাবেন

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টো অনেক উপকার পাওয়া যায়।

কাঠালের বিচির উপকারিতাগুলো জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এক নজরে দেখে নিন সেই উপকারিতাগুলো কী কী।

১. প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়

শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে যে যে উপাদনগুলোর প্রয়োজন, তার মধ্যে অন্যতম হল প্রোটিন। তাই এই উপাদানটির ঘাটতি যেন কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কাঁঠালের বীজ। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর প্রোটিন থাকে, যা দেহে প্রোটিনের চাহিদা মেটায়।

২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

অল্প সময়েই ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হোক তা কে না চায়। এমনটা যদি আপনিও চান, তাহলে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া শুরু করুন। এই বিচিতে বিদ্যমান ফাইবার, দেহের ভেতর একাধিক রোগকে যেমন বাসা বাঁধতে দেয় না, তেমনি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাঁঠালের বীজে সাহায্য করে।

৩. সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়

বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বিচি সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্যে দিয়ে নানাবিধ ফুড-বন এবং ওয়াটার বন ডিজিজের প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। শুধু তাই নয়, একাদিক কেস স্টাডি একথা প্রমাণ করেছে যে হজমের সমস্যা কমাতেও কাঁটালের বিচি দারুন কাজে আসে।

৪. ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে বেশ কিছু শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট্রসের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫. বলি রেখা কমায়

ত্বককে সতেজ এবং সুন্দর রাখতে ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বিচির। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিচি নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আর যদি হাতের কাছে মধু থাকে, তাহলে সেটিও এই পেস্টটি বানানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। দেখা গেছে পেস্টটির সঙ্গে মধু যোগ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বৃদ্ধি পায়।

৬. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে

অ্যানিমিয়ায় রোগীর সংখ্যার দিক থেকে গত এক দশকে সারা বিশ্বের মধ্যে ভারত এক নম্বরে উঠে এসেছে। আর এত সংখ্যক রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এই অবস্থার পরিবর্তনে কাঁঠালের বিচি কার্যকারী ভূমিকা রাখে। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৭. হজম শক্তি বাড়ায়

পরিমাণ মতো কাঁঠালের বিচি নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলি বেটে নিয়ে চটজলটি গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যায়। সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। আসলে এতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. বিষণ্নতা দূর করে

দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে অনেকেই বিষণ্নতায় ভোগেন। এই বিষণ্নতা দূরীকরণে কাঁঠালের বিচি বেশ কার্যকারী। এই বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা মস্তিষ্কের ভেতরে কেমিকেল ব্যালেন্স ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে বিষণ্নতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।