মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট করেছেন সুপ্রীম কোর্টের এক আইনজীবী। রিটে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
রবিবার সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ই্উনুছ আলী আকন্দ রিট আবেদনটি করেন ।
এর আগে শনিবার দুপুরে কুরিয়ার সার্ভিসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব বরাবরে ওই নোটিশ পাঠান বলে জানান আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
তার দাবি, যে প্রশ্নে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, তার সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিলের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি নোটিশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পরবর্তীতে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে।
নোটিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেলেন এই আইনজীবী।
এদিকে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ২৩টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ৩০টি মেডিকেল কলেজ, একটি ডেন্টাল কলেজ ও ৮টি ডেন্টাল ইউনিটে ৩ হাজার ৭৪৪ আসন এবং বেসরকারি ৬৫টি মেডিকেল ও ২৪টি ডেন্টাল কলেজে ৬ হাজার ৩৫৫ টি আসনের বিপরীতে এবার ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন।
পরীক্ষা চলাকালীনই প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক সহকারী পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে র্যাব। এর আগে গত বুধবার রাজধানীর মহাখালী থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছিলো।
এদিকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার আগের রাতেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, যা হুবহু পরদিন পরীক্ষায় এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।