হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ১০নং জাবরহাট ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর আতাই ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। ব্রিজের অভাবে দু‘উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। নদীর এপারে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা ওপারে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঐ এলাকার সাগরাম ও মাইকেলের উদ্যোগে প্রায় এক হাজার ফুট লম্বা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী, কৃষক-কৃষানী, ব্যবসায়ীসহ দু উপজেলার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ। আসা যাওয়ার জন্য এ সাঁকোটিই একমাত্র ভরসা। বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কৃষি পন্য পরিবহন ও অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় ঐ এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সহজ ভাবে বাজার জাত করতে পারছে না।
অপরদিকে দুুর্ভোগ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ঐ এলাকার মানুষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের সাঁকোর উগ্যোক্তা সাগরাম ও মাইকেল সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় মাতব্বর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের জন্য প্রতি জনের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং বাইসাইকেল-মোটরসাইকেল পারাপারে ১৫-২০ টাকা নিচ্ছে। এ যেন একটি নিরব চাঁদাবাজি। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানা ভাবে হেনেস্তার শিকার হতে হয় পথচারীদের।
তাছাড়া ঐ ঘাটের পূর্বপার্শ্বে প্রতিবছরই বান্নিন মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। দুই উপজেলার হাজার হাজার হিন্দুধর্মাবলম্বী ভক্তরা মহোৎসব পালন করতে আসেন সেখানে। কিন্তু পীরগঞ্জের এপারে বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা থাকলেও ওপারে বোচাগঞ্জ উপজেলায় বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা না থাকায় হাটু পানি ভেঙ্গে যাতায়াত করতে হয় ওপারের বোচাগঞ্জ উপজেলায়।
ফলে ঐসব এলাকার লোকজনের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এলাকাবাসীর দাবী একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের। ব্রিজটি নির্মাণ হলে দু উপজেলার হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জাবরহাট ইউ’পি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবীর জানায় ভরা বর্ষা মৌসুমে নৌকার উপর দিয়ে যাতায়াত করে দু উপজেলার মানুষ। নদীর আতাই ঘাটে সরকারি অর্থায়নে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে দু উপজেলার মানুষের যাতায়াতে সুবিধার পাশাপাশি এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের। যুগোপোযোগী ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন হলে সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।