ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্ত দান করে ২৪ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন জেমস হ্যারিসন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মে ২০১৮
  • ৩২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের আশপাশে অনেক রক্তদান শিবির হয় ঘটা করে৷ রক্তের প্রয়োজন শুধু এ দেশে নয়৷ গোটা বিশ্বজুড়েই রক্তের প্রয়োজন ৷ তবে রক্ত দিয়ে ২৪ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন কেউ এমন নজির কিন্তু খুবই কম রয়েছে৷

আর এমন মহান কাজই করে দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জেমস হ্যারিসন ৷ রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, তার দেওয়া রক্তে বেঁচেছে ২৪ লক্ষেরও বেশি শিশুর জীবন ৷ এ বছর ৮১ বছরে পা দিয়েছেন তিনি ৷ গত ১১ মে শুক্রবার বয়সের কারণে শেষবারের রক্তদান করলেন তিনি ৷

রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস জানিয়েছে, হ্যারিসনের রক্তে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে যা দিয়ে রেসিস রোগ প্রতিরোধের এক ধরনের ইনজেকশন তৈরি হয়। এই রোগে সাধারণত গর্ভাবস্থায়ই আক্রান্ত হয় শিশুরা। আর এই রোগের ভয়াবহতা এতটাই দৃঢ় যে, এতে আক্রান্ত হলে শিশুর ব্রেন ড্যামেজ কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাচ্চার মায়ের রক্ত যদি রেসাস-নেগেটিভ হয় এবং বাচ্চা যদি বাবার থেকে রেসাস পজিটিভ রক্ত পায় তবে এমনটা ঘটে। এতে আক্রান্ত হলে মায়েদের গর্ভের ভ্রূণই মারা যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রক্ত দান করে ২৪ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন জেমস হ্যারিসন

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের আশপাশে অনেক রক্তদান শিবির হয় ঘটা করে৷ রক্তের প্রয়োজন শুধু এ দেশে নয়৷ গোটা বিশ্বজুড়েই রক্তের প্রয়োজন ৷ তবে রক্ত দিয়ে ২৪ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছেন কেউ এমন নজির কিন্তু খুবই কম রয়েছে৷

আর এমন মহান কাজই করে দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জেমস হ্যারিসন ৷ রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, তার দেওয়া রক্তে বেঁচেছে ২৪ লক্ষেরও বেশি শিশুর জীবন ৷ এ বছর ৮১ বছরে পা দিয়েছেন তিনি ৷ গত ১১ মে শুক্রবার বয়সের কারণে শেষবারের রক্তদান করলেন তিনি ৷

রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস জানিয়েছে, হ্যারিসনের রক্তে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে যা দিয়ে রেসিস রোগ প্রতিরোধের এক ধরনের ইনজেকশন তৈরি হয়। এই রোগে সাধারণত গর্ভাবস্থায়ই আক্রান্ত হয় শিশুরা। আর এই রোগের ভয়াবহতা এতটাই দৃঢ় যে, এতে আক্রান্ত হলে শিশুর ব্রেন ড্যামেজ কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বাচ্চার মায়ের রক্ত যদি রেসাস-নেগেটিভ হয় এবং বাচ্চা যদি বাবার থেকে রেসাস পজিটিভ রক্ত পায় তবে এমনটা ঘটে। এতে আক্রান্ত হলে মায়েদের গর্ভের ভ্রূণই মারা যেতে পারে।