হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামে মার্চ মাসের শুরু থেকেই দেখা দিয়েছে পাসপোর্টের তীব্র সংকট। আর এই সংকটের কারণ হলো ছাপা সংক্রান্ত নানা জটিলতা। কারণ ঢাকা থেকে প্রিন্ট হয়ে না আসায় ২ থেকে ৩ মাস অপেক্ষা করেও পাসপোর্ট পাচ্ছেন না অনেক আবেদনকারীরা। আগে প্রতিদিন বিভাগীয় এবং আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে প্রায় ১ হাজার পাসপোর্ট প্রদান করা হলেও এখন তা মাত্র ১’শ থেকে দেড়শোতে নেমে এসেছে।
আর এই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে রোগী, ওমরাহ পালনের পাশাপাশি রয়েছে হজ যাত্রীরা। তবে তাদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। কিন্তু এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও চলতি মে মাসে এসে সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আগে প্রতিদিন চট্টগ্রামে পাঁচলাইশস্থ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে অন্তত ৫’শ এবং নসুরাবাদ বিভাগীয় কার্যালয় থেকে ৬’শ পাসপোর্ট প্রদান করা হলেও এখন তা একেবারে হাতে-গোনা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় পাসপোর্ট প্রিন্টিং মেশিনে ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। মুদ্রণ শাখায় মেশিনের কারিগরি ত্রুটির কারণে আমাদের পাসপোর্ট এখন সময়মতো আসছে না। আর এই কারণে স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে।
জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট ৭ দিনে এবং সাধারণ মানের পাসপোর্ট এক মাসের মধ্যে প্রদানের কথা থাকলেও বর্তমানে তা হচ্ছে না। পাসপোর্ট প্রার্থীদের প্রতিদিন আঞ্চলিক ও বিভাগীয় কার্যালয়গুলোতে এক থেকে ২ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
প্রতিদিনই পাসপোর্টের জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়লেও সংকটের কারণে প্রয়োজন অনুধাবন করে কিছু পাসপোর্ট প্রদানের চেষ্টা করছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
এই অবস্থায় নিবন্ধনকৃত হজ যাত্রীদের যেমন ভিসায় সমস্যা হবে, তেমনি ওমরাহ পালন কিংবা চাকরির জন্য বিদেশ যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।
হাব-এর সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, যারা এ বছর হজ করতে যাবে, বা ওমরাহ করতে যাবে, নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট না পেলে তো প্রচুর বিড়ম্বনারমধ্যে পড়ে যাবে।
আটাব-এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক শুক্কুর বলেন, যারা এমপ্লয়মেন্ট ভিসায় বিদেশে যায়, তাদের জন্য এটা চরম সংকট। দেশের অর্থনীতি অচল হয়ে যাবে যদি যাত্রীরা ৩ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট না পায়।
সূত্র : সময় টিভি