হাওর বার্তা ডেস্কঃ নীলফামারীর জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ে মা-মেয়েসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জলঢাকায় তিনজন ও ডোমারে চারজন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ঝড়ে জেলার তিন উপজেলায় শত শত হেক্টর রোপা আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঝড়ে খুচিমাদা গ্রামে মা-মেয়ে ও পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।
ধর্মপাল ইউপি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান জানান, গতকাল রাতের কালবৈশাখীতে জলঢাকা উপজেলার খুচিমাদা গ্রামের আলমের স্ত্রী সুমাইয়া (৩০) ও তার তিন মাসের কন্যা মনি নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া মীরগঞ্জ পূর্ব শিমুলবাড়ী গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (২২) নিহত হয়েছেন। চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বিশাল একটি পাকুড়ের গাছ উপড়ে পড়ে আশিকুর চাপা পড়ে মারা যান।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, ঝড়ে ডিমলা, ডোমার ও জলঢাকা উপজেলার শত শত হেক্টর রোপা আমন ধান ঝড়ে পরছে। সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় যোগযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে ডোমার উপজেলায় দুই নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ফাতিমা।
নিহতরা হলেন-গোমনাতি ইউনিয়নের গনি মিয়া (৪০), কেতকিবাড়ী ইউনিয়নের আফিজা রহমান (৪০), ভোগদাবুড়ি ইউনিয়নের খোদেজা বেগম (৫০) এবং জমিরুল ইসলাম (১২)।