হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজাকের সিরিজ অর্থ কেলেঙ্কারীর কারণে মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে হেরে গেলো রাজনৈতিক মোর্চা বারিসান নাশিওনাল। যার মধ্যে দিয়ে ৬০ বছরের ক্ষমতার মসনদ থেকে ছিটকে পড়ল প্রভাবশালী এ জোট। নির্বাচনে হেরে যাওয়াই কেবল নয়, নাজিবের জন্য আরও দুঃসংবাদ আসছে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যত অর্থ কেলেঙ্কারীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তার বিচার করবেন সদ্য বিজয়ী মাহাথির মোহাম্মদ। ইতোমধ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে আইনের আওতায় আনার ঈঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী জুনের মধ্যেই দি পিপলস জাস্টিস পার্টি-পিকেআর দলের কারাবন্দী নেতা আনোয়ার ইব্রাহীমকেও মুক্ত করার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকাতান হারাপান জোটের অন্যতম শরীক দল পিকেআর। যে দলের নেতা আনোয়ারকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছে নাজিব।
নির্বাচন কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পূর্বে বুধবার দিনগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে। রাজপ্রাসাদ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, কারণ তারা জানতে পেরেছেন আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী পদে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগের পর তিনি উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী নিয়োগ দেবেন বলে জানান। একই সঙ্গে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পাকাতান আগামী জুনের মধ্যেই আনোয়ার ইব্রাহীমের মুক্তির জন্য কাজ করবে।
মাহাথির আরও বলেন, একবার তিনি মুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়তে পারবেন। কিন্তু এজন্য তাকে প্রথমে পার্লামেন্ট সদস্য পদে নির্বাচন করে জিততে হবে। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে প্রথমে তাকে পার্লামেন্ট সদস্য হতে হবে।
ধারাবাহিক অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগে নাজিবের বিরুদ্ধে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, পাকাতান আইনের শাসন প্রত্যর্পণ করতে চায়। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই না। আমরা যা চাই তা হলো আইনের শাসন ফিরিয়ে দিতে। কেউ যদি আইন ভাঙ্গে, তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
বুধবারের (০৯ মে) নির্বাচনে পাকাতান হারাপান পেয়েছে ১২১টি আসন (দি পিপলস জাস্টিস পার্টি-পিকআর পেয়েছে ১০৪টি আসন, ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন পার্টি-ডিএপি পেয়েছে ৯টি আসন, সাবাহ হেরিটেজ পার্টি পেয়েছে ৮টি আসন), বারিসান নাশিওনাল পেয়েছে ৭৯টি আসন।