নাসির হোসেন এখন একটি ঝড়ের নাম। নাসির ঝড় আসলে অসাধ্যকে সাধ্য করা যায়! মাঠে অসাধ্যকে ব্যাট হাতেই বাস্তবে রুপ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবারের লড়াই শুধু সেদিনের মধ্যেই থাকছে না। এটা প্রবাহিত হচ্ছে সর্বত্র। নাসিরকে নিয়ে চিন্তায় গোটা ভারত। ভারত এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিততে চেয়েছিল।
নাসিরের কারণেই তা পারেনি ভারত। কলকাতাসহ ভারতের সব গণমাধ্যমেই উঠে এসেছে নাসির ঝড়ের খবর। এ বিষয়ে বিখ্যাত আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রথম ম্যাচে ঝলসে উঠেছিলেন গুরকিরাত সিংহ। তাঁর ব্যাটে-বলে দাপটের জোরে বাংলাদেশ এ-কে ৯৬ রানে পর্যুদস্ত করেছিল ভারত এ।
পাল্টা নাসির হোসেনের নায়কোচিত পারফরম্যান্সে ভর করে গতকালের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৫ রানে জয়ী হয়েছে মোমিনুল হকের দল। ভারত-বাংলাদেশ তিন ম্যাচের বেসরকারি একদিনের সিরিজ এখন ১-১। জয় পরাজয়ের নির্ধারক ম্যাচ হবে আগামীকাল।
গতকাল মূলত নাসিরের ৯৬ বলে অপরাজিত ১০২ রানের দৌলতে বাংলাদেশ এ প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে তোলে ৮ উইকেটে ২৫২। ষষ্ঠ উইকেটে লিটন দাস (৪৫) –কে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন নাসির। সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে বাংলাদেশ এ।
সৌম্য সরকার আমিনুল হক, আরাফত সানি করেন যথাক্রমে ২৪, ৩৪ ও ১৭ রান। উন্মুক্ত চাঁদের দলের বোলারদের মধ্যে সফল হন ঋষি ধবন। এই মিডিয়াম পেসার পান তিনটি উইকেট। লেগ স্পিনার কর্ণ শর্মা ঝুলিতে পোরেন দুটি উইকেট।
কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত এ। একের পর এক উইকেটের পতন হয়। একদিকে নাসিরের অফ স্পিন (৩৬ রানে ৫ উইকেট) ও রুবেল হোসেনের মিডিয়াম পেসের (৩৩ রানে ৪ উইকেট) ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়ে উন্মুক্ত চাঁদের দল।
ভারত এ-র হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন অধিনায়ক উন্মুক্ত-৫৬। মণীশ পান্ডের রান ৩৬। গতকালও ব্যর্থ সুরেশ রায়না। প্রথম ম্যাচে ১৬-র পর গতকাল তাঁর অবদান মাত্র ১৭! মিডল অর্ডার শোচনীয় ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচের দুই সফল ক্রিকেটার সঞ্জু স্যামসন ও ঋষি ধবন গতকাল স্রেফ শূন্য রানে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ধুঁকতে ধুঁকতে ভারত এ-র ইনিংস শেষ হয় ১৮৭ রানে।
সুতরাং রোববার সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে নামতে হবে ভারত এ-কে। মরণ বাঁচনের ম্যাচে সঞ্জু স্যামসন, গুরকিরাত সিংহ, ঋষি ধবনরা প্রখম ম্যাচের মতো জ্বলে উঠতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার। এই তিনজনের ওপর ভরসা করছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।