হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাংবাদিক সমাজের জন্য একটি পৃথক শ্রম আদালত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, শ্রম আইন অমান্য করে সাংবাদিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (পত্রিকায়) মালিক কর্তৃপক্ষ। বেতন বোর্ড রোয়েদাদ (বেতন কাঠামো) অনুযায়ী সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে বঞ্চিত করছে। বেতন বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন, অধিকার প্রতিষ্ঠা, যখন-তখন ছাঁটাই বন্ধ করা এবং চাকরিচ্যুত করার পরে আইন অনুযায়ী পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
আজ মঙ্গলবার মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিইউজের একাংশের সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএফইউজের (একাংশের) মহাসচিব ওমর ফারুক, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সাবেক কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান, ডিইউজের (একাংশের) সাবেক সভাপতি শাবান মাহমুদ, ডিইউজের (একাংশের) সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, নির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা ধ্রুব, শাকিলা পারভীন, ডিইউজের আলোকিত বাংলাদেশের ইউনিট চিফ মতলু মল্লিক, সদস্য সচিব সিরাজুজ্জামান, নিউনেশন ইউনিট চিফ হেমায়েত হোসেন, প্রবীণ সদস্য মৃণাল কান্তি প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ডিইউজের (একাংশের) দফতর সম্পাদক এম জিহাদুর রহমান জিহাদ, জাহিদা পারভীন ছন্দাসহ সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক ও মিডিয়াবান্ধব। সাংবাদিকদের কল্যাণে তিনি নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন।
সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক নেতা ও সদস্যের ঐক্যবদ্ধ থাকা পূর্বশর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি সদস্যকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নেতাদেরও সদস্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের দাবি আদায়ে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের মহাসচিব ওমর ফারুক বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকরা ওয়েজ বোর্ডে বেতন ভাতা ও সুবিধাদি পান না, মৌখিক কিংবা লিখিতভাবে জানালে তারা (নেতারা) ব্যবস্থা নেবেন।
সভাপতির বক্তৃতায় আবু জাফর সূর্য বলেন, যেসব পত্রিকার মালিক সাংবাদিক শ্রমিক-কর্মচারীদের দেখিয়ে রেট কার্ডসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পান, তারা ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা না দিলে রেট কার্ড স্থগিত বা বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।