ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আমরা মোটেও পিছিয়ে নেই -মোস্তাফা জব্বার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেশের নামের সঙ্গে ‘ডিজিটাল’ সংযুক্ত করতে আমরাই পথিকৃৎ। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালের ব্যবহার বাস্তবায়ন কর্মসূচি চলমান। আমাদের এবারের উদ্যোগ কাগজববিহীন সরকার। সরকারের যাবতীয় তথ্যের ব্যবহারে স্মার্টফোনই যথেষ্ট হবে।

গত শনিবার সিলেটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি আরও বলেন, দেশের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করেছে। আমাদের দেশের তরুণরা ঢাকার পান্থপথে বসে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। শ্যামলীতে বসে টোকিওর বাড়ি পাহারা দেওয়াটা বিস্ময়কর শোনালেও এমনটি ঘটছে এই দেশে। সুতরাং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আমরা মোটেও পিছিয়ে নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাফায়েত মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাতের তালুতে কম্পিউটার, স্মার্টফোন চলে এসেছে, যা একসময় অবিশ্বাস্য ছিল। একটা সময় কপালের টিপ বা হাতের আংটি হবে ভবিষ্যৎ কম্পিউটার। আমরা সে যুগ পাই বা না পাই তোমরাই হবে সে যুগের নেতা। সেজন্য চাই প্রযুক্তির সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক। প্রযুক্তিকে যে যত দ্রুত ধারণ করতে পারে, সে-ই নিজের মেধাকে সম্পদে পরিণত করতে পারবে। আর এ পৃথিবীতে একসময় মেধার চেয়ে দামি কোনো সম্পদ থাকবে না।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে প্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে বিসিএস একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিকে আপন করে নিলে জীবন সহজতর হবে। বেকারত্ব দূর হবে। দরিদ্র থেকে সামর্থ্যবান হতে প্রযুক্তি হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। সরকারের সঙ্গে প্রযুক্তির শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিসিএস সবসময় একাত্মতা ঘোষণা করে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ এমপি, বিসিএস মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক শাহীদ-উল-মুনীর, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনসহ অন্য নেতারা। কর্মসূচিতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজয় ডিজিটালের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই।

কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিসিএসের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন বিসিএস সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক এএসএমজি কিবরিয়া। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের উদ্যোগে বিসিএস সিলেট শাখার সহযোগিতায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আমরা মোটেও পিছিয়ে নেই -মোস্তাফা জব্বার

আপডেট টাইম : ১১:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেশের নামের সঙ্গে ‘ডিজিটাল’ সংযুক্ত করতে আমরাই পথিকৃৎ। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালের ব্যবহার বাস্তবায়ন কর্মসূচি চলমান। আমাদের এবারের উদ্যোগ কাগজববিহীন সরকার। সরকারের যাবতীয় তথ্যের ব্যবহারে স্মার্টফোনই যথেষ্ট হবে।

গত শনিবার সিলেটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি আরও বলেন, দেশের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করেছে। আমাদের দেশের তরুণরা ঢাকার পান্থপথে বসে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। শ্যামলীতে বসে টোকিওর বাড়ি পাহারা দেওয়াটা বিস্ময়কর শোনালেও এমনটি ঘটছে এই দেশে। সুতরাং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আমরা মোটেও পিছিয়ে নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাফায়েত মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাতের তালুতে কম্পিউটার, স্মার্টফোন চলে এসেছে, যা একসময় অবিশ্বাস্য ছিল। একটা সময় কপালের টিপ বা হাতের আংটি হবে ভবিষ্যৎ কম্পিউটার। আমরা সে যুগ পাই বা না পাই তোমরাই হবে সে যুগের নেতা। সেজন্য চাই প্রযুক্তির সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক। প্রযুক্তিকে যে যত দ্রুত ধারণ করতে পারে, সে-ই নিজের মেধাকে সম্পদে পরিণত করতে পারবে। আর এ পৃথিবীতে একসময় মেধার চেয়ে দামি কোনো সম্পদ থাকবে না।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে প্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে বিসিএস একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিকে আপন করে নিলে জীবন সহজতর হবে। বেকারত্ব দূর হবে। দরিদ্র থেকে সামর্থ্যবান হতে প্রযুক্তি হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। সরকারের সঙ্গে প্রযুক্তির শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিসিএস সবসময় একাত্মতা ঘোষণা করে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ এমপি, বিসিএস মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক শাহীদ-উল-মুনীর, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনসহ অন্য নেতারা। কর্মসূচিতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজয় ডিজিটালের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই।

কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন বিসিএসের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন বিসিএস সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক এএসএমজি কিবরিয়া। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের উদ্যোগে বিসিএস সিলেট শাখার সহযোগিতায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।