হাওর বার্তা ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইনজুরি থেকে ফিরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেতে পারেনি ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ধাওয়ানের ব্যর্থতার দিনে ব্যর্থ ছিলো গোটা হায়দরাবাদের ব্যাটিং ইউনিট। কোন রান না করেই ফিরেন আসর জুড়ে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি থাকা ঋদ্ধিমান শাহ।
১১ বলে ১৬ রান করে পান্ডিয়ার বলে রোহিতের দূর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে মিডল অর্ডার মনিষ পাণ্ডে। রান আউটে কাটা পড়েন রেকর্ড বয় সাকিব আল হাসান। সঙ্গিদের আসা যাওয়ার মিছিলে অন্যপ্রান্তি নিরব যোদ্ধা অধিনায়ক উইলিয়ামসন। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন উইলিয়ামসন। আউট হওয়ার আগে ২৯ রান করেন উইলিয়ামসন।
এরপর হায়দরাবাদের আশার বাঁতি হয়ে জ্বলে ছিলেন ইউসুফ পাঠান। ১৯তম ওভারের ৪র্থ বলে মোস্তাফিজের বলে পাঠানের আউটে ১১৮ রানে শেষ হয় হায়দরাবাদের ইনিংস। ৩৩ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন পাঠান।
মুম্বায়ের হয়ে মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান, হার্দিক পান্ডিয়া ও মায়াঙ্ক মার্কান্দে দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সুর্য্যকুমার যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোস্তাফিজ। ৩.৪ ওভারে মাত্র ১৮ দেন মোস্তাফিজ।
প্রথম ইনিংস শেষে হয়তো ধরেই নেওয়া হয়েছিলো মুম্বাই আসরের দ্বিতীয় জয় পাচ্ছে। কিন্তু ক্রিকেটে যে শেষ বলে কিছু নেই সেটা আরেকবার দেখা গেলো ওয়াংখেড়ে।
- প্রথমে ব্যাটিং করে ১১৮ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ।
- জবাবে ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় মুম্বাই।
- এই ম্যাচে টি-২০ ক্যারিয়ারে ৩০০তম উইকেট শিকার করে সাকিব।
- ১৮ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করে মোস্তাফিজ।
লুইস, রোহিত, পোলার্ডদের ব্যর্থতায় মুম্বাই মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায়। যা এবারের আসরের সর্বনিন্ম স্কোর। ম্যাচটিতে ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর মধ্যদিয়ে টি-২০ ফরম্যাটের উইকেটের ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ ফরম্যাটের অধিনায়ক। পৃথিবীর পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন সাকিব। এবং ব্রাভোর পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে ৪০০০ রান ও ৩০০ উইকেটের মালিক হলেন সাকিব।
মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। হায়দরাবাদের পক্ষে কাউল ৩টি, রশিদ খান ও বিশাল থাম্পি ২টি, সন্দিপ শর্মা, সাকিব ও নবী ২টি করে উইকেট শিকার করে। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পায় আফগানি রশিদ খান।