শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলা নববর্ষ ও ইরানি নওরোজ উদযাপন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে একসঙ্গে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ও ইরানি নববর্ষ নওরোজ। শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে গান, কবিতা ও আলোচনায় উভয় দেশের নববর্ষ উদযাপনকে অনন্য করে তোলে শিল্পী ও বক্তারা।

দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আবহমান সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘নওরোজ’ মানে নতুন দিন। ইরানে বসন্ত উৎসব আর নববর্ষ তথা ‘নওরোজ উৎসব’ একসূত্রে গাঁথা। বিষয়টি ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আনন্দ অনুভূতি বা নান্দনিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এসেছে যুগ যুগ ধরে। এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয় সাধারণত ২০ অথবা ২১ মার্চ। আর বাংলা নববর্ষ পালিত হয় পহেলা বৈশাখ বা ১৪ এপ্রিল। কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় এই দুটি উৎসব একসঙ্গে উদযাপন করা হয়।

দুই পর্বে বিভক্ত আয়োজনে ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রথম পর্বে ছিল আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম সরকার। শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক বদরুল আনাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ মূসা হোসেইনী।

আলোচনা শেষে শুরু হয় বাংলা এবং ফারসি ভাষার গান-কবিতায় সজ্জিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ফকির লালন সাঁই ও শাহ আবদুল করিমের বাণীকে কণ্ঠে ধারণ করে মঞ্চে আসেন সমীর বাউল। গেয়ে শোনান, ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’ ও ‘কোন মিস্ত্রি নাও বানাইছে’। এই শিল্পীর ছেলে আবির শুনিয়েছেন ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’। এছাড়া পরিবেশিত হয়েছে নাটক। গান ও কবিতার যুগলবন্দি পরিবেশনা উপস্থাপন করেছে ঢাকাস্থ ইরানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশু শিল্পীরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর