ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে গোলা ভরা ধানের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮
  • ৮৭৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নানা বাধা পেরিয়ে বোরো চাষে আগাম রোপন ও সঠিক সময়ে সকল পরিচর্যা সম্পন্ন করেছেন কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকরা। এখন ধানের ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন তারা। সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে কৃষকের গোলা ভরা ধানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী হাওর ঘুরে দেখা যায়, বাতাসের সঙ্গে ধুল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সবুজ ধানগাছ। হাওরগুলোতে দৃষ্টির সীমানা পর্যন্ত সবুজের সমারোহ। ক্ষতিকর পোকারও উপস্থিতি নেই হাওরের কোথাও।

Untitled-1 copyসবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ভালো ফলন হবে বলে জেলা কৃষি বিভাগের আশা।

জেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান হাওর বার্তাকে বলেন, জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৭৪ হেক্টর জমি। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এক লাখ ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি চাষ করা হয়েছে। বোরো চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটা সাফল্যের। কেননা বোরো চাষের শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়।

Untitled-1 copy.jpg 1তিনি বলেন, এ পর্যন্ত হাওর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ধানের ফলন ফালো হয়েছে। তবে হাইব্রিডের চেয়ে বৃ-ধান-২৯’র ফলন আরো ভালো হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এমন ফলন হয়নি।

‘বোরো চাষ অর্থাৎ শীতকালের শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। ধান ঘরে তুলার আগ পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার কৃষকদের নিয়ে আমরা মাঠে আছি’ এমনটি উল্লেখ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

Untitled-1 copy.jpg 2

মিঠামইন থানার কাটখাল ইউনিয়নের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অন্তত ১৫ দিন আগেই বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলাম। সে অনুযায়ী ধান রোপনসহ সব ধরনের কাজই আগে আগে করেছি। এখন অন্যান্য বছরের চেয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ধান কাটতে পারব বলে আশা করছি। এছাড়া ভালো ফলন পাব বলেও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হাওরে গোলা ভরা ধানের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নানা বাধা পেরিয়ে বোরো চাষে আগাম রোপন ও সঠিক সময়ে সকল পরিচর্যা সম্পন্ন করেছেন কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকরা। এখন ধানের ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন তারা। সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে কৃষকের গোলা ভরা ধানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে বলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, নিকলী হাওর ঘুরে দেখা যায়, বাতাসের সঙ্গে ধুল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সবুজ ধানগাছ। হাওরগুলোতে দৃষ্টির সীমানা পর্যন্ত সবুজের সমারোহ। ক্ষতিকর পোকারও উপস্থিতি নেই হাওরের কোথাও।

Untitled-1 copyসবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত ভালো ফলন হবে বলে জেলা কৃষি বিভাগের আশা।

জেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান হাওর বার্তাকে বলেন, জেলায় এবার বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ১৫ হাজার ৭৪ হেক্টর জমি। কিন্তু এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এক লাখ ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি চাষ করা হয়েছে। বোরো চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটা সাফল্যের। কেননা বোরো চাষের শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার সৃষ্টি হয়।

Untitled-1 copy.jpg 1তিনি বলেন, এ পর্যন্ত হাওর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ধানের ফলন ফালো হয়েছে। তবে হাইব্রিডের চেয়ে বৃ-ধান-২৯’র ফলন আরো ভালো হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এমন ফলন হয়নি।

‘বোরো চাষ অর্থাৎ শীতকালের শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। ধান ঘরে তুলার আগ পর্যন্ত জেলার ৮ উপজেলার কৃষকদের নিয়ে আমরা মাঠে আছি’ এমনটি উল্লেখ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

Untitled-1 copy.jpg 2

মিঠামইন থানার কাটখাল ইউনিয়নের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অন্তত ১৫ দিন আগেই বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলাম। সে অনুযায়ী ধান রোপনসহ সব ধরনের কাজই আগে আগে করেছি। এখন অন্যান্য বছরের চেয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই ধান কাটতে পারব বলে আশা করছি। এছাড়া ভালো ফলন পাব বলেও।