ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বব্যাপী হুমকি নয় সুন্দরী প্রিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
  • ৪৭৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবাসিক পাখি। স্লিম গড়ন। ভোলাভালা চেহারা। দেহের তুলনায় লেজ খানিকটা লম্বা। সাংঘাতিক চঞ্চল হলেও উড়তে খুব পারদর্শী নয়। দ্রুত উড়তে গেলে মনে হয় নিচে ঝুলে পড়বে। কিন্তু ভাবেসাবে দেখায় খুব উড়তে পারে। তবে এরা খুব আমুদে পাখি। সারাদিনই নেচেগেয়ে কাটাতে পছন্দ করে। খাদ্যের সন্ধানে গাছগাছালিতে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ায়। ছোট ছোট পোকামাকড় সংগ্রহ করে খায়। বেশিরভাগই একাকী বিচরণ করে। মূলত এরা ঘাসবনের পাখি। এ ছাড়াও শুষ্ক অঞ্চল, বিশেষ করে সারিবদ্ধ গাছপালা কিংবা কাঁটা গাছে বিচরণ রয়েছে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। কণ্ঠস্বর সুমধুর। ‘টিস..টিস..’ কণ্ঠে ডাকে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ব্যতীত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। এ ছাড়াও মিসর, ইরাক, ইসরাইল, সোমালিয়া ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃতি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এরা হুমকি নয়, অবস্থান মোটামুটি সন্তোষজনক।

পাখির বাংলা নাম: ‘সুন্দরী প্রিনা’, ইংরেজি নাম: ‘গ্রেসফুল প্রিনিয়া’, (Graceful Prinia), বৈজ্ঞানিক নাম: Prinia gracilis। এরা ‘চটপটে বুনো টুনি’ নামেও পরিচিত।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১০-১৩ সেন্টিমিটার। ওজন ৬-৮ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন হলেও পুরুষ পাখির রঙে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পুরুষ পাখি বাদামি রঙের। মাথা, ডানা ও লেজে গাঢ় বাদামি টান। গলা বাদামি সাদা। স্ত্রী পাখি হালকা বাদামি। উভয়ের লেজ লম্বা, কালচে বাদামি। দেহতল বাদামি-সাদা। ঠোঁট খাটো, গোলাপি কালচে। চোখ বাদামি। পা ও পায়ের পাতা হলুদাভ ত্বক বর্ণের। প্রজনন পালক ভিন্ন।

প্রধান খাবার: গোবরে পোকা, কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়।

প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি-জুলাই। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ভূমি থেকে দুই-তিন মিটার উঁচুতে লতাপাতা পেঁচিয়ে থলে আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১০-১১ দিন।

লেখক: আলম শাইন, 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিশ্বব্যাপী হুমকি নয় সুন্দরী প্রিনা

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবাসিক পাখি। স্লিম গড়ন। ভোলাভালা চেহারা। দেহের তুলনায় লেজ খানিকটা লম্বা। সাংঘাতিক চঞ্চল হলেও উড়তে খুব পারদর্শী নয়। দ্রুত উড়তে গেলে মনে হয় নিচে ঝুলে পড়বে। কিন্তু ভাবেসাবে দেখায় খুব উড়তে পারে। তবে এরা খুব আমুদে পাখি। সারাদিনই নেচেগেয়ে কাটাতে পছন্দ করে। খাদ্যের সন্ধানে গাছগাছালিতে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ায়। ছোট ছোট পোকামাকড় সংগ্রহ করে খায়। বেশিরভাগই একাকী বিচরণ করে। মূলত এরা ঘাসবনের পাখি। এ ছাড়াও শুষ্ক অঞ্চল, বিশেষ করে সারিবদ্ধ গাছপালা কিংবা কাঁটা গাছে বিচরণ রয়েছে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। কণ্ঠস্বর সুমধুর। ‘টিস..টিস..’ কণ্ঠে ডাকে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ব্যতীত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল। এ ছাড়াও মিসর, ইরাক, ইসরাইল, সোমালিয়া ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃতি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এরা হুমকি নয়, অবস্থান মোটামুটি সন্তোষজনক।

পাখির বাংলা নাম: ‘সুন্দরী প্রিনা’, ইংরেজি নাম: ‘গ্রেসফুল প্রিনিয়া’, (Graceful Prinia), বৈজ্ঞানিক নাম: Prinia gracilis। এরা ‘চটপটে বুনো টুনি’ নামেও পরিচিত।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১০-১৩ সেন্টিমিটার। ওজন ৬-৮ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন হলেও পুরুষ পাখির রঙে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। পুরুষ পাখি বাদামি রঙের। মাথা, ডানা ও লেজে গাঢ় বাদামি টান। গলা বাদামি সাদা। স্ত্রী পাখি হালকা বাদামি। উভয়ের লেজ লম্বা, কালচে বাদামি। দেহতল বাদামি-সাদা। ঠোঁট খাটো, গোলাপি কালচে। চোখ বাদামি। পা ও পায়ের পাতা হলুদাভ ত্বক বর্ণের। প্রজনন পালক ভিন্ন।

প্রধান খাবার: গোবরে পোকা, কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়।

প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি-জুলাই। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। ভূমি থেকে দুই-তিন মিটার উঁচুতে লতাপাতা পেঁচিয়ে থলে আকৃতির বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১০-১১ দিন।

লেখক: আলম শাইন,